স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সভা-সমাবেশ বন্ধের সুপারিশ

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সভা-সমাবেশ বন্ধের সুপারিশ
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সভা-সমাবেশ বন্ধের সুপারিশ  © ফাইল ছবি

দেশে প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থা দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে সব সামাজিক (বিয়ের অনুষ্ঠান, মেলা ইত্যাদি), ধর্মীয় (ওয়াজ মাহফিল) ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধ করতে হবে বলে মত দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) করোনা সংক্রান্ত কমিটিটির ৫০তম সভা থেকে এ সুপারিশ করা হয়। সভা শেষে পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ‘সরকারি নির্দেশনা না মানলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ব’

সভার সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১. পার্শবর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আমাদের দেশেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

প্রয়োজনে কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের জন্য আইনী ব্যবস্থা যেমন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরামর্শ দেয় কমিটি। শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা, হাত পরিষ্কার রাখা ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন স্থানে পুনরায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা।

আরও পড়ুন: ওমিক্রন ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরামর্শ

নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতের উদ্দেশে সব সামাজিক (বিয়ের অনুষ্ঠান, মেলা ইত্যাদি), ধর্মীয় (ওয়াজ মাহফিল) ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ এ সময় বন্ধ করতে হবে। সভা/কর্মশালার ব্যবস্থা অনলাইন এ করা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের বিষয়ে নিয়মিত নজরদারির বিষয়ে পরামর্শক কমিটি গুরুত্বারোপ করে।

২. শিক্ষার্থীসহ সবাইকে দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

৩. সব পয়েন্ট অব এন্ট্রিতে স্ক্রিনিং, কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন আরও জোরদারকরণে সুপারিশ করা হয়।

৪ . সংক্রমণ বেড়ে গেলে তা মোকাবিলায় হাসপাতাল প্রস্তুতি, বিশেষ করে পর্যাপ্ত সাধারণ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) শয্যা, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেয় কমিটি।

আরও পড়ুন: করোনা শনাক্তের হার বেড়ে ৫.৬৭ শতাংশ

এদিকে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০ বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ার পেছনে ডেল্টা ও ওমিক্রন দুটি ধরনেরই প্রভাব রয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে ওমিক্রনের দাপট ততই বাড়ছে। এই অবস্থায় ​অন্তত এক মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পর্যটনকেন্দ্র, নির্বাচনসহ জনসমাগমস্থল বন্ধ রাখতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। এছাড়া সমাজে যেসব বিষয়ে জনসমাগম হয়ে থাকে, সেসব কিছুই আপাতত কমপক্ষে এক মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া উচিত।


সর্বশেষ সংবাদ