নারী পর্যটকদের জন্য ‘বিশেষ এলাকা’ করা হচ্ছে

কক্সবাজারে নারীদের জন্য বিশেষ এলাকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ
কক্সবাজারে নারীদের জন্য বিশেষ এলাকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটো

কক্সবাজারে নারী পর্যটকদের জন্য আলাদা একটি সংরক্ষিত এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। খুব তাড়াতাড়ি সেটি চালু করা হবে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান এই তথ্য জানিয়েছেন। এমন খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।

আরও পড়ুন: পুলিশ ট্রেনিংয়ে ডাক পেলেন ভূমিহীন মিম

আবু সুফিয়ান বলেন, কক্সবাজারে আসা শুধু নারী পর্যটকদের জন্য আলাদাভাবে কার্যক্রম চলছে। যারা নারী পর্যটক বা পর্দানশীন নারী রয়েছেন, তাদের জন্য ১০০ বা ১৫০ ফিটের একটা সংরক্ষিত এলাকা করছি। যারা ইচ্ছুক হবেন বা স্বেচ্ছায় চাইবেন, তারা সেখানে গিয়ে পানিতে নামতে পারবেন। সৈকতে নারীদের জন্য আলাদা ড্রেসিং রুম ও লকার রুম করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন দেড় লাখ টাকায় মীমাংসা

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, পর্যটন এলাকা নারীবান্ধব করার জন্য সৈকতে যারা কাজ করেন, তাদের বড় একটি অংশে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের মধ্যেও নারী পুলিশ রয়েছেন।

হোটেল-মোটেল ও পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের পর যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো-

  • সকল আবাসিক হোটেলে রুম বুকিং করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও জমা দিতে হবে।
  • আবাসিক হোটেলগুলোয় একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে।
  • প্রতিটি হোটেলে কক্ষ সংখ্যা, মূল্য তালিকা ও খালি কক্ষের সংখ্যা, রেস্তোরাঁয় খাবারের মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতে হবে।
  • প্রতিটি আবাসিক হোটেলে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে অথবা জোরদার করতে হবে।
  • শহর এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় অভিবাসীদের কক্ষ ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • হোটেল-মোটেল বা গেস্ট হাউজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষিত হতে হবে।
  • সকল হোটেল-রেস্তোরাঁর নিবন্ধন করতে হবে। 

আরও পড়ুন: বেরোবিতে ছাত্রলীগের নব কমিটিতে পদ প্রত্যাশী ৯৩ জন

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া এক নারীকে অপহরণের পর একটি হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগের পর ২২ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে ঘটনার শিকার ওই নারীকে একটি গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ওই ঘটনার পর কক্সবাজারে নারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে এক অস্ট্রেলিয়ান তরুণী ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।


সর্বশেষ সংবাদ