করোনায় বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিণত হয়েছে আড্ডা ও জুয়ার আসরে

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চড়ানো হচ্ছে গরু, বারান্দায় রাখা হয়েছে গো-খাদ্য
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চড়ানো হচ্ছে গরু, বারান্দায় রাখা হয়েছে গো-খাদ্য  © সংগৃহীত

করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর এই সুযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন, বেঞ্চ ও আসবাবপত্রগুলো ব্যবহার হচ্ছে স্থানীয় বখাটে ও মাদকসেবীদের আড্ডার স্থান হিসেবে। দিনের বেলা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিণত হয় গরু-ছাগল চড়ানোর জায়গা হিসেবে আর রাতের বেলা সেখানে চলে মদ-গাঁজা আর জুয়ার আসর।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এই অবস্থায় কেউ খোঁজ রাখছেন না। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় দিনভর চড়ানো হয় গরু। কোথাও আবার স্তুপ করে রাখা হয়েছে নির্মাণসামগ্রী।

কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা-জানালাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। ক্লাসের ভেতরের বেঞ্চ-ডেস্কগুলোও উইপোকা আর ঘুনে খেয়ে ফেলছে। বাইরে দিনভর মানুষ আড্ডা দিচ্ছে। আর রাতে সেখানেই গাঁজা ও জুয়ার আসর বসে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রাঙ্গণে দেখা যায়, সেখানে গরু চড়ানো হয়েছে। বারান্দায় বস্তায় গো-খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল রাখা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা বলছেন, ‘আমরা বিদ্যালয়মুখী হতে চাই। শিক্ষার্থীদেরও বিদ্যালয়মুখী করতে হবে। বিদ্যালয় খোলার আগেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হবে। সেজন্য এরইমধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ও মাস্ক ক্রয় করে রাখা হয়েছে।’

হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার দাশ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া দরকার। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তবে ১৩ জুনের আগেই সব পরিষ্কার করতে বলা হচ্ছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ