বাসে সিট নেই, তীব্র যানজট— নাকাল রাজধানীর মানুষ

তীব্র যানজট আর বাসে সিটের অভাবে আজ দিনভর তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ
তীব্র যানজট আর বাসে সিটের অভাবে আজ দিনভর তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ  © টিডিসি ফটো

লকডাউনের ঘোষণায় পর ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর গণপরিবহণেও। রোববার (৪ মার্চ) সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন বাস স্টপেজ থেকে টার্মিনালমুখী মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে গণপরিবহনে বাড়তি চাপ পড়ায় বিপাকে পড়েন মানুষ। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও বাসে উঠতে না পেরে অনেককেই দেখা যায় পায়ে হেঁটেই গন্তব্যস্থলে রওয়ানা দিতে।

ব্যাংক কর্মকর্তা মিযানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘আজকে ভোগান্তির উপর আরও ভোগান্তি যুক্ত হয়েছে। অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করায় এমনিতেই বাসে উঠা যায় না, তার উপর লকডাউনের ঘোষণার পর এখন আরও বাড়তি মানুষ যুক্ত হয়েছে।’

লঞ্চঘাটের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে দীর্ঘ এক ঘন্টা ধরে কলাবাগানে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার কথা জানান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশফাকুর হাসিব। তিনি বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও বাসে উঠতে পারছি না। আজকে গণপরিবহনে মানুষের চাপ প্রচুর। কোন বাস ফাঁকা আসছে না। অনেক বাস দু’এক সিট ফাকাঁ নিয়ে আসলেও মানুষের হুড়োহুড়িতে উঠতে পারছি না। হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণায় তড়িঘড়ি করে ফিরছি। আজকে ফিরতে না পারলে লকডাউনে ঢাকায় আটকা পড়ে যাব।’

অনেকেই আবার দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে না পেরে সিএনজি ভাড়া করেই গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। শুধু বাসের ভোগান্তিই নয়, সাথে যুক্ত হয়েছে প্রচন্ড জ্যামের ভোগান্তিও। অনেক চেষ্টার পর যারা বাসে উঠতে পারছিলেন তাদের নাকাল হতে হচ্ছিলো জ্যামে। আসাদগেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, আজিমপুরের প্রতিটি সিগন্যালেই ছিল দীর্ঘ যানজট। প্রচন্ড গরম আর দীর্ঘ জ্যামে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের।

তশরিফ ইকবাল নামের এক যাত্রী অভিযোগ করেন, ‘বাস না পেয়ে কল্যাণপুর থেকে আসাদগেট পর্যন্ত হেঁটে এসেছি ২০ মিনিটে। কিন্তু আসাদগেট থেকে বাসে উঠে নীলক্ষেত পৌঁছতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে। সেইসাথে প্রচন্ড রোদ ও গরম তো রয়েছেই।’

শুধুমাত্র মূল সড়কগুলোই নয় বরং যানজট ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। মিরপুর রোড সংলগ্ন নিউমার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরী হয়ে ধানমন্ডি প্রবেশের পুরো সড়কই অতিরিক্ত রিকশার চাপে স্থবির হয়ে পড়ে। এতে করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে প্রচন্ড ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘লকডাউনের ঘোষণার পর রাজধানী ছাড়ছে অনেকে মানুষ। আজ সকাল থেকেই রাস্তায় বাড়তি মানুষের চাপ। মানুষের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা অপ্রতুল থাকায় অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে গাড়ি ভাড়া করে বাড়ির দিকে যাচ্ছেন। এ কারণে রাস্তায় একটু বেশিই যানজট।’


সর্বশেষ সংবাদ