আল্লামা শফীর মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাইলেন ৩১৩ আলেম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৩০ PM , আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৩০ PM
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন দেশের ৩১৩ আলেম-পীর মাশায়েখ। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য দুইদিন ধরে আহমদ শফীকে চরম নির্যাতন ও মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়। আজ শুক্রবার মহিব্বিনে আহমদ শফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রচার সচিব মাওলানা মুফতি আব্দুস ছাত্তার স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দেশের শীর্ষ আলেমরা এ দাবি জানান।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, 'হাটহাজারী মাদ্রাসায় আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস লুটতরাজের মাধ্যমে আল্লামা আহমদ শফীর কক্ষ ভাঙচুর, মাদ্রাসার মুহাদ্দিসদের কক্ষ ভাঙচুর ও তাদের মারধরের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা পুরো কওমি অঙ্গনকে কলুষিত করেছে। জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার, মানহাজী ও চরমপন্থী এ চক্রান্তে জড়িত। মূলত হাটহাজারী মাদ্রাসার ক্ষমতা দখল, কওমি অঙ্গনকে দখল ও রজনৈতিকভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে সরকারবিরোধী ইস্যু সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে বিরোধী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শাহ আহমদ শফীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়াই তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে সরকারের কাছে অবিলম্বে শায়খুল ইসলামের খুনের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
আলেমদের বিবৃতিতে বলা হয়, '৩৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে যে মামলা হয়েছে, তারা সবাই আল্লামা শাহ আহমদ শফীর হত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। শাক দিয়ে মাছ ডাকতে তারা আজ বিভিন্ন আলেমদের নামে নিজেদের বিবৃতি দিচ্ছে মিডিয়াতে। যারা আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজায় শরিক হয়েছিলেন, তারা সবাই আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যাকাণ্ডের নিশান প্রত্যক্ষ করেছে। সন্ত্রাসীরা হযরতের পরিবার এবং মাওলানা আনাছ মাদানীকে আজও হত্যার হুমকি দিচ্ছে, তাদের হুমকির ভয়ে তিনি সচরাচর চলাফেরা করতে পারছে না। আমরা এ পরিস্থিতির জন্য আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।'
যেকোনো অবস্থায় কওমিয়াতের ঐক্য ধরে রাখতে ও ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা না দিতে সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।
বিবৃতি দাতারা হলেন- মুফতি ওসমান সাহেব (ঢাকা), মুফতি নুরুল ইসলাম (ঢাকা), আব্দুল কাদের, মুফতি সাইফুল ইসলাম (ঢাকা), মুফতি খেফায়ত উল্লাহ (ঢাকা), মুস্তাফা কামাল (সিলেট), মুফতি সিরাজুল ইসলাম (চট্টগ্রাম), মুফতি নোমান কাসেমী (নোয়াখালী), মাহমুদুল হাসান জিহাদী (চট্টগ্রাম), রহিম উল্লাহ নোমানী (কুমিল্লা), আব্দুল হক (চাঁদপুর), আব্দুস সাত্তার জিহাদী (ঢাকা), মুজাহেরুল হক (জামালপুর), সাইফুদ্দিন কাসেমী (চট্টগ্রাম), আমিনুল ইসলাম (বাগেরহাট), নাছির উদ্দিন আফেন্দি (পাবনা), মুফতি আহমদ আলী (কুমিল্লা), হাফেজ জাবের আহমদ (নরসিংদী), মুফতি ফয়জুল করিম (সিলেটি), শহিদুল্লাহ (যশোর), ইয়াকুব আহমেদ (কক্সবাজার), মুবিনুল হক, এনামুল হক, সুলাইমান, সাদেক হোসাইন, ইকবাল হোসেন, সাকের হোসেন জালালী, নজরুল ইসলাম রহিমী, আব্দুল ওয়াহাব জাফরী নওগা, মুফতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।