অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে আপসহীন ছিলেন আল্লামা শফী: আইজিপি

  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আল-জামিয়াতুল তাহলিমা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

আজ শনিবার এক শোকবার্তায় আইজিপি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের ও তার ভক্ত-অনুসারীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

আইজিপি বলেন, আল্লামা শফী একজন সৎ এবং নির্ভীক আলেমে দ্বীন ছিলেন। অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে তার আপসহীন ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ৮ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।

এদিকে টানা দুইদিন বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির সভায় আহমদ শফী মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার ছেলে আনাস মাদানিকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতিও দেওয়া হয়। এর পরপরই মাদ্রাসা থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স যোগে আহমদ শফীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আল্লামা শফী দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর শীর্ষ সংগঠন আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া বেফাকুল মাদারিস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম (মহাপরিচালক) ছিলেন দেশের এই শীর্ষ আলেম।

শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চট্টগ্রামের রাঙ্গনিয়া উপজেলার পাখিয়ারটিলা গ্রামে ১৯১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী আহমদ শফী মৃত্যুকালে দুই ছেলে, তিন মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ