লাইফ সাপোর্টে এরশাদ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯, ০৫:১১ PM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯, ০৫:১১ PM
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। জাপার সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টায় এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। এরশাদ বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিৎিসাধীন রয়েছেণ।
এদিকে স্ত্রী জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদএরশাদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বৃহস্প্রতিবার বেলা আড়াইটায় জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেখতে যান।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সুনীল শুভরায়, মেজর (অব.) খালেদ আকতার, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব এসএম ইয়াসিরসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিএমএইচ এর আইসিইউ থেকে বের হয়ে বেগম রওশন এরশাদ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন। শুক্রবার দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় উপসনালয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোগমুক্তি এবং সুস্থতা কামনায় দোয়া করতে অনুরোধ জানিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ।
এর আগে জানা যায়, রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, বিদেশে নেয়ার অবস্থা নেই। তবে উন্নতির আশা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ভাই ও পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এরশাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির বনানী অফিসে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফ করেন তার ভাই ও পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, বিদেশে নেয়ার অবস্থা নেই। তবে উন্নতির আশা করছেন চিকিৎসকরা।
ইল্লেখ্য, গত ২২ জুন বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত সিএমএইচে নেয়া হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এরশাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা ধরা পড়ে। দুই দফায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে এলেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। এই দফায় সিএমএইচে ভর্তি হলে এরশাদের ফুসফুস ও কিডনিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে।