দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ

নোয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন  © টিডিসি

নোয়াখালী সদর উপজেলার খলিফার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে অপসারণের দাবি জানান।

আজ রবিবার (২২ জুন) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। ‘দুর্নীতিবাজ শিক্ষক অপসারণ করো’, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস না করিয়ে ব্যক্তিগত আলোচনায় লিপ্ত থাকেন। প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সহায়ক বইয়ের প্রকাশকের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেই বই কিনতে বাধ্য করেন। তার আচরণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গেও অশোভন।

এর আগে গত ২৪ মে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক ও কর্মচারী অনস্থা দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন: ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে মাদক নয়’—প্রশাসনের কড়া বার্তা

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অপকর্মের হোতা এই প্রধান শিক্ষক অন্য শিক্ষকদের মতামত ছাড়াই এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছে বিনা রশিদে টাকা গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের কাছে উপবৃত্তির আবেদন বাবদ ১০০ টাকা করে গ্রহণ করে তা একাই ভোগ করেন। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের বই পাঠ্য করে সবার অগোচরে বছরে এক লাখ টাকা করে সর্বমোট সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।’

শিক্ষকরা অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘পাঞ্জেরী পাবলিকেশন থেকে প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি শিক্ষক ও কর্মচারীদের অগোছরে মাইজদী কবির বুক লাইব্রেরি হতে বিল- ভাউচার সৃজন করে প্রতিবছর বিদ্যালয় তহবিল থেকে এক লাখ টাকা করে সর্বমোট সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে ভুয়া বিল ভাউচার করে বিদ্যালয় ফান্ড থেকে অবৈধ উপায় টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেন।

এদিকে তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষক প্রতিবাদ জানালে তাকে মারধরের হুমকিও প্রদান করেন অভিযুক্ত এই প্রধান শিক্ষক। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের এক ধর্মীয় শিক্ষকের সঙ্গে এমন অন্যায় আচরণ হয়েছে বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন: প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের জলকামান–সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিনাত রেহানা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছি।’


সর্বশেষ সংবাদ