যমুনা অভিমুখে আন্দোলনে আহতরা, ইন্টার কন্টিনেন্টাল মোড়ে আটকে দিল পুলিশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদে বাধা দেয় পুলিশ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদে বাধা দেয় পুলিশ  © টিডিসি ফটো

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে যেতে পারেননি আন্দোলনে আহতরা। রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে বাধা দেয় পুলিশ। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে শনিবার থেকে বিক্ষোভ করছেন অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) তারা দিনভর শিশুমেলা মোড়ে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সন্ধ্যায় মিরপুর সড়ক ছেড়ে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রা করেন। রাত ৮টার দিকে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালারের সামনে পৌঁছান তারা। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে ওই জায়গায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা।

এ সময় আন্দোলনকারীদের একজন আমিনুল ইসলাম ইমন সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার রাত থেকে তারা সড়কে অবস্থান করলেও সরকারের দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি তাদের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, ন্যূনতম সহানুভূতিও দেখানো হয়নি। অথচ জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে।

এর আগে সন্ধ্যার দিকে কোরবান শেখ নামের এক বিক্ষোভকারী বলেছিলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা শিশুমেলা মোড় ছেড়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হচ্ছেন। তাদের মধ্যে আহত যারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত, তারা সেই কাগজ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাচ্ছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা কেউ হেঁটে, কেউবা রিকশা, কেউ হুইল চেয়ারে করেই যমুনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আহত ব্যক্তিরা আন্দোলন শুরু করেন। শুরুতে আগারগাঁও সড়কের সামনে হলেও আজ বেলা ১১টার পর মিরপুর সড়কের শিশুমেলা মোড় তারা অবরোধ করেন। দুপুরের দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দেন। কিন্তু বিকেল চারটার পর তারা সে কর্মসূচি স্থগিত করে শিশুমেলার মোড়েই অবস্থান করবেন বলে জানান। রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন ওই পথে চলাচলকারী নগরবাসী।


সর্বশেষ সংবাদ