আওয়ামী লীগের পাল্টা অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫২ PM , আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫২ PM
ক্ষমতাচ্যুতরা আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বিভিন্ন জায়গায়-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লোক জড়ো করুক আর যাই করুক এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাদের জীবন বিপন্ন হয়। কারণ এদেশের পাবলিক এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আমি বরং মনে করি আপনারা আপনাদের পার্টি রিঅর্গানাইজড করেন। পার্টির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটা আমরা ডিনাই করতে পারি না। পার্টিকে রিঅর্গানাইজড করেন, একটা পলিটিক্যাল পার্টির মতো থাকেন। ইলেকশন এলে কনটেস্ট করবেন। জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে আন্দোলনে আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি একথা বলেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের উদ্দেশে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এদেশের লোক এত তাড়াতাড়ি ভুলে নাই। সময় দেন হয়তো ভুলে যাবে। এত তাড়াতাড়ি ভুলে নাই কারণ যাকে ধরছিলেন নেতা, সেই নেতারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যাকে ধরছে তাকে আমরা বাঁচাতে পারছি না। অনেক নেতাকে অনেকে বাঁচিয়েছে। আমরা জানি কে কোথায় আছে। কিন্তু ওটা না করে আপনারা বরং পার্টিকে, এটা অনেক বড় পার্টি, আই হ্যাভ আ লট অব রেসপেক্ট ফর আওয়ামী লীগ। এক সময় আমাদের মতো বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল এই পার্টি। আপনারা আসুন, যারা রেগুলার (রাজনীতি) করতে চান। এখানে মারামারি করে কোনো লাভ নাই। আরও কিছু লোকের মৃত্যু আমরা চাই না।
অলরেডি চারশ থেকে পাঁচশ তারও বেশি মারা গেছে উভয়পক্ষে। পুলিশের এই অবস্থা হয়েছে। আনসারের এই অবস্থা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি উসকানি দিতাম তাহলে আপনারা টিকতে পারতেন না, আর্মির ফায়ারে। আমরা আর্মিকে মানা করেছি ডোন্ট ওপেন ফায়ার। কারণ কাকে মারবেন আপনি? আপনারা এই পুলিশকে দিয়ে কাকে মারিয়েছেন? পুলিশকে দিয়ে মারিয়েছেন আপনার সন্তানকে। এটা করবেন না। অনুরোধ করছি প্ররোচণায় আইসেন না। ব্যক্তিগত স্বার্থে আপনারা এত বড় দলকে নষ্ট করবেন না। এটা আমাদের প্রাইড ছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। নষ্ট করবেন না। এটা নষ্ট করবার কোনো অধিকার আপনাদের নাই। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি।’
পাল্টা অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আর এই যদি স্বপ্ন কেউ মনে করে যে এটা করে আবার কাউন্টার রেভ্যুলুশন করে আসবেন। কাউন্টার রেভ্যুলুশন করতে হলে আপনাকে আবার হাজার হাজার লোকের রক্ত বহাইতে হবে। যদি আপনারা সেই দায়িত্ব নিতে চান তাহলে নেন। আমার কিছু করার নেই।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন প্রসঙ্গেও কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বলেন, ‘আমাদের যে ইয়ং জেনারেশন, এরা করেছে। কোনো পলিটিক্যাল পার্টি করে নাই। দে হ্যাভ গিভেন দেয়ার লাইফ। যেটা আপনারা কোনোদিন দিতে পারতেন না। বুকে পেতে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশের গুলি খাওয়ার জন্য। তাদের দুঃখ নাই। দে আর অল স্মাইলিং। এরা যতদিন আছে, আমাদের কথা বাদ দেন, আমরা দৌড় দেব। এরা যতদিন আছে, এরা দৌড়াবে না। দে উইল ফেস ইউ। সো প্লিজ, আমি অনুরোধ করছি। আমি একজন সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বলছি, দয়া করে দেশটাকে স্বাধীন রাখেন।