ডাক্তার দাবি করা মুনিয়া খান কখনো পড়েননি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৩ AM , আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:২১ PM
সম্প্রতি গণমাধ্যমে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে মুনিয়া খান রোজা নামে এক চিকিৎসকের ইন্টারভিউ ভাইরাল হয়েছে। তবে আলোচনায় আসা মুনিয়া খান রোজা নামে কেউ ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেননি বলে জানিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি নাগরিক টিভি ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুনিয়া খান রোজা নামক এক কথিত ডাক্তারের বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে। বক্তব্যটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কথিত ওই ডাক্তার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেছেন মর্মে সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত সত্য হলো মুনিয়া খান রোজা নামের কোনো ছাত্রী কখনোই ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেননি।
এতে আরও বলা হয়, তার এ ধরনের মিথ্যা বক্তব্যের কারণে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিব্রতবোধ করছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রচার কোনোভাবে কাম্য নয়।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের আইসিইউ থেকে মুনিয়া খান রোজা নামে এক তরুণীকে আটক করা হয়। ওই তরুণী ডাক্তারদের অ্যাপ্রোন পরে হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করতেন বলে সেসময় জানানো হয়েছিল। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে ওই তরুণী জেলও খাটেন।
কারামুক্ত হওয়ার পর মুনিয়া খান রোজা একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি ভুয়া ডাক্তার না। প্রতারণার অভিযোগে কয়েক মাস আগে সাজা ভোগ করে ফিরে এসে ফের তার এমন আচরণে হতবাক অনেকে। এছাড়া ওই টকশো অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের করা বিভিন্ন সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নের ভুলভাল উত্তর দিয়ে জন্ম দিয়েছেন নতুন বিতর্কের।
সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় ওটি মানে কী? তিনি বলেন, ওটি মানে সার্জারি করা, ওটি করা। প্রশ্নকারী আবার বলেন, ওটির একটি অর্থ আছে। এটার পুরো মানেটা কী? তিনি উত্তর দিতে পারেননি। তাকে জিজ্ঞেস করা হয় আইসিইউ মানে কী, এই প্রশ্নেরউত্তর দিতে গিয়ে বলেন, যেখানে রোগীকে আইসিইউতে মানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়, অক্সিজেন দেওয়া হয়। তাকে আবার জিজ্ঞেস করা হয় আইসিইউ মানেটা কী, তিনি উত্তর দিতে পারেননি।