‘শরীফার গল্পে’ সমকামিতা উসকে দেয়ার অভিযোগ অমূলক: শিক্ষামন্ত্রী

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।  © টিডিসি ফটো

নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ‘শরীফার গল্প’র মাধ্যমে ‘সমকামিতা’কে উস্কে দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এটি অবৈধ বা অগ্রহণযোগ্য প্র্যাকটিস। এটিকে উৎসাহ দেয়ার অভিযোগ সত্য নয়। এটির সঙ্গে টেক্সটবুকের যে কনটেন্ট সেটারও কোনো সম্পর্ক নেই।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত চা-চক্র শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশেষায়িত কোনো বিষয়ে যেহেতু ধর্মীয় সংবেদনশীলতা রয়েছে সেই বিষয়টাকে কিভাবে মিটিগেট করতে পারি সেজন্য আমাদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশ কয়েকজন ইসলামি চিন্তাবিদ। সুতরাং তারা আমাদেরকে আগে জানান যে ধর্মীয় সংবেদনশীলতার দিক থেকে কতটুকু প্রভাব সেখানে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু কাঠামোগত উন্নতি নয়, বাড়াতে হবে গবেষণাও: শিক্ষামন্ত্রী

তার মতে, আবার বিষয়টি ওই বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ কিনা এবং শারীরিক পরিবর্তনের কনসেপ্টটি ওই শ্রেণিতে দেয়ার যোগ্য কিনা সেই আলোচনাও আছে। সেটি নিয়ে কমিটির কাছ থেকে আমরা একটা মতামত চেয়েছি। পাশাপাশি এসব বিষয়ে আমরা অন্য বিশেষজ্ঞদেরও মতামত নিচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তর্কটাকে অনেকেই উস্কে দিচ্ছে। সুতরাং আমি বলবো এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে। আবার এই নির্বাচনের পর অপরাজনৈতিক শক্তি তিলকে তাল বানানোর অপচেষ্টায়ও লিপ্ত। তবে আমরা বলছি না সব সমালোচনা অগ্রহণযোগ্য। সমালোচনা হবে আবার আলোচনাও হবে। তবে যে বিষয়টি সেখানে নেই সে বিষয়ে উসকে দেয়ার বিষয়টি অমূলক।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিনা—এমন প্রশ্নে মহিবুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। সৃষ্টিশীলতা বা নেতৃত্বের প্রয়োজনে ডাকসু নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি সুবিধা হয়। তবে এটি হলে কতটুকু অরাজকতা বা অস্তিত্বশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেটি বিবেচনা করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।


সর্বশেষ সংবাদ