শিক্ষাগুরুর মর্যাদা ও পরিবর্তনের রূপকারদের গল্প

লেখক: মেহেদী হাসান খান সিয়াম
লেখক: মেহেদী হাসান খান সিয়াম  © টিডিসি

প্রকৃতির সব প্রাণীই নিজেদের মধ্যে একটি স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা বহন করে। তারা কোনো শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নয়, বরং নিজেদের সহজাত প্রবৃত্তি অনুসারে জীবনযাত্রার সব পাঠ শিখে নেয়।

নিজের ও বিশ্বের কল্যাণের জন্য একমাত্র মানুষের জন্যই সহজাত শিক্ষার (ফিতরাত) বাইরেও আলাদা করে কৃত্রিম প্রচেষ্টায় শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। এর দরুন গড়ে উঠেছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল প্রাণরস হলো শিক্ষকরা। বহু অর্থকড়ির হাতছানিকে উপেক্ষা করে প্রতি বছর অনেক মানুষ এই মহৎ পেশাটাকে বাছাই করে নেন। কিন্তু আগের সেই দরসে নিজামিয়ার বিস্তৃতিকালের, বাদশাহ আলমগীরের মতো করে শিক্ষাগুরুদের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শনের মানুষিকতা দিন দিন তলানীতে পড়ছে বললেই চলে। কেন শিক্ষকের পায়ে শুধু পানি ঢেলে দিচ্ছে, এ জন্য ছেলের শিক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করার মতো কোনো বাদশাহ আলমগীর এখন আর খেয়াল করা যায় না।

এখন খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় শিক্ষকদের মানহানি, শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপমানজনক স্লোগান। এই সংকট আমাদের জাতীয় সংকট হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে। প্রাইমারি স্কুলের শিশুরা পর্যন্ত শিক্ষাগুরুকে অপমান করতে পিছপা হয় না।

এই সংকট তৈরির সম্ভাব্য কারণ
আমাদের আরাম-আয়েশের ব্যবস্থার জন্য বাজারের দোকানগুলোর অবস্থা রমরমা। শুধু টাকা ছুড়লে আয়েশের যেকোনো কিছু কিনে ফেলতে পারি। এটি খুব আশার দিক কিন্তু হতাশার দিক হলো, অন্যন্য বস্তু যেভাবে একটা নির্দিষ্ট কিছুর বিনিময়ে খরিদ করে থাকি ঠিক সেভাবেই শিক্ষাটাকেও আমরা একটা বস্তুতে পরিণত করেছি। টিউটরকে মাসে পাঁচ হাজার টাকা দিই, বিনিময়ে তিনি রুটিন মাফিক ঘড়ি দেখে এক ঘণ্টা ডিউটি করেন। ফল হিসেবে রেজাল্ট শিটের ভারটা বাড়ার সাথে সাথে মনুষ্যত্বের ভারটা বাড়ছে না।

আমরা শিক্ষার প্রকৃত সঙ্গাটাই ভুলে গেছি! শিক্ষা একই সঙ্গে বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক বিষয় বহন করে। বস্তুগত ও আধ্যাত্মিকতার অর্থাৎ মন ও দেহের সংযোগ ঘটে শিক্ষার মাধ্যমেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আমাদের দেশের প্রচলিত কোনো শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার দুটি পরিচয়কে স্বীকার করে গড়ে ওঠেনি। ফলে একদিকে অদক্ষ আদর্শিক মানুষ তৈরি হচ্ছে, আরেক দিকে দক্ষ চোর-গুন্ডা তৈরি হচ্ছে।

এই সংকটের মূল কারণ হলো শিক্ষা ও নৈতিকতাকে আলাদা করে দেওয়া। নৈতিকতার জন্য আলাদা বই তৈরি করা মানেই দুটিকে দুই মেরুতে পাঠিয়ে দেওয়া। বরং আমাদের উচিত ছিল যখন একজন শিক্ষার্থীকে মেটাবলিজমের সাইকেল পড়াবো, তখন এটিপি হিসেব করাবো আর বলবো, দেখো, আমাদের বায়োলজিক্যাল সিস্টেম কিন্তু অপচয় করা পছন্দ করে না, তাই আমাদের অপচয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: লেকচারার নেবে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, লাগবে না অভিজ্ঞতা

ঠিক এভাবেই সবগুলো বিষয় পড়ানো হবে। একই সঙ্গে এর থেকে শিক্ষাটাকে মোটাদাগে চিহ্নিত করে দিতে হবে। শুধু তত্ত্বের আদান-প্রদান আর যা-ই হোক, আদর্শ শিক্ষা হতে পারে না আর এআই-এর যুগে তো হতেই পারে না। যখন ধর্মীয়, নৈতিক ও বস্তুগত বিষয়গুলো একসঙ্গে পড়ানো হবে, তখনই কেবল আমরা একটা আদর্শিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশা করতে পারবো। যেখানে একজন শিক্ষক থাকবেন নৈতিকতার প্রাণপুরুষ। তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি হতেও পারেন আবার না-ও হতে পারেন। তবে তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে কোনো শিক্ষার্থীকে অবৈধ সুবিধা দেবেন না। যার সম্বলে ওই শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষকের ওপর চড়াও হতে দ্বিতীয়বার ভাবে না। শিক্ষক পরিচয় নিয়ে তিনি প্রফেশনালিজমের বাইরে গিয়ে নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে অযথা আলাপচারিতা করনেন না, যেখানে ওই নারী শিক্ষার্থী মুখ দিয়ে হয়তো জি স্যার বলে কিন্তু মনের ভেতরে একরাশ ঘৃণা জমা হয়। শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষাগুরুর নূন্যতম পরিচয়টা হলেও ধারণ করবেন।

ছাত্র-শিক্ষক উভয়েরই ব্যক্তিত্ব সংরক্ষিত থাকবে, ছাত্র-শিক্ষকের মন থেকে সম্মান করবে এবং শিক্ষক ছাত্রকে স্নেহ করবে তার হিতাকাঙ্ক্ষী হবে। উভয়েরই মুখের ভাষা ও মনের ভাষা একই হবে। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে পারলে, শিক্ষাগুরুকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমরা আবারও বাদশাহ আলমগীরকে খুব শিগগিরই ফিরে পাবো বলে আশাবাদী।

পরিবর্তনের রূপকার শিক্ষকদের গল্প
এসএসসিতে প্রথমবার জিপিএ ৩.৭৭ পাওয়া একটা ছেলে দ্বিতীয়বার ইম্প্রুভ পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৪.৪১ নিয়ে কলেজে ভর্তি হলো। কলেজে ভর্তি হয়ে প্রথম ক্লাস টেস্টে অংশগ্রহণই করেনি কিছু পারে না বলে! পরের ক্লাস টেস্টে অংশ নিয়ে ফেল করেছে। একদিন সন্ধ্যায় রাস্তায় হাঁটছে। পথিমধ্যে তার কলেজের গণিত শিক্ষক, বিল্লার স্যারের সঙ্গে দেখা। স্যার অনেকটা অভিভাবকসুলভ হয়ে শাসানো চোখে জিজ্ঞেস করলেন, সন্ধ্যা হয়েছে তুমি এখনও রাস্তায় কেন?

আমি: স্যার, মেস খুঁজতেছিলাম।
স্যার: যাও, আমার প্রাইভেট সেন্টারের পাশের বাসাটা দেখে আসো।
আমি: স্যার, দেখেছি কিন্তু তারা ব্যাচেলর ভাড়া দেবে না...
স্যার: তোমার পছন্দ হয়েছে কি না বলো। বাকিটা আমি দেখতেছি।

এরপর স্যারের মাধ্যমে মেস ঠিক হলো। মেসে ওঠার প্রথম দিন এসেই শাসন─
স্যার: পড়াশোনা এভাবে করলে হবে? রেজাল্ট এমন কেন?
আমি: ইনশাআল্লাহ স্যার ভালো করবো।

স্যারের প্রাইভের সেন্টারের অপজিট পাশেই মেসের অবস্থান। শিক্ষার্থীর জানালার পাশ অতিক্রম করার সময় শিক্ষার্থীর নাম ধরে খোঁজ নেওয়া। পড়ায় কোথাও সমস্যা হলে বুঝিয়ে দেওয়া। প্রাইভেট সেন্টারে সৌজন্য সংখ্যার যে বই আসে, সেগুলোর কিছু ওই মেসে দেওয়া। এভাবেই স্যারের উৎসাহে চলতে থাকলো ওই মেসের পড়াশোনা। যে ছেলেটা প্রথম ক্লাস টেস্টে অংশ নেয়নি, দ্বিতীয় ক্লাস টেস্টে বায়োলজিতে ফেল করেছে, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় সেই ছেলের খাতা ক্লাসে এনে বায়োলজি টিচার ফারহানা ম্যাম অন্যদের দেখাচ্ছেন, ওর মতো লিখবা তোমরা...এই তো শুরু হলো ওই শিক্ষার্থীর স্রোতে প্রবেশ করা; ইতিবাচক পরিবর্তনের স্রোত!

এরপর আবার হঠাৎ একদিন ওই শিক্ষার্থী টিফিন আওয়ারে ক্লাস কামাই করতে গেল। করিডোরে যেতেই ধরা পড়লো রসায়নের শিক্ষ, বাপন স্যারের হাতে। আইডি কার্ড হাতে নিয়ে স্যার ওই শিক্ষার্থীর বাসায় ফোন দিতে উদ্যত হলেন। কোনোভাবেই স্যারকে মানানো যাচ্ছে না। অবশেষে স্যার লিখিত নিয়ে কোনো রকম মানলেন, শর্ত হলো পরবর্তীতে এক দিনও ক্লাস মিস দেওয়া যাবে না।

এরপর? এরপর একদিন বাপন স্যারের বাফার দ্রবণের ক্লাস। স্যারের লেকচার দেওয়ার পর ক্লাসের আরও অনেক সময় বাকি। তিনি বললেন, তোমাদের কে আমার ক্লাসটা রিপিট করতে পারবা? স্যারের কাছ থেকে কোনোভাবে বেঁচে ফেরা ওই শিক্ষার্থী হাত উঠালো। স্যারের ক্লাসের পুরোটা বলার চেষ্টা করলো, কতটা পেরেছিল বলা মুশকিল তবে ক্লাসের সবার প্রশংসা পেয়েছিল এবং স্যার পরদিন ডেকে বলেছিল, এই বাচ্চা শুনো (স্যার শিক্ষার্থীদের বাচ্চা সম্বোধন করতেন), এভাবে নিয়মিত পড়তে হবে।

এরপর পড়ার স্পিড আরও বেড়ে গেল। ম্যাথ প্রাইভেট পড়ে বিল্লাল স্যারের কাছে কিন্তু অবসর সময়ে ম্যাথেরই ব্যাচেলর শিক্ষক মেহেদী স্যার ও আবু দাউদ স্যারের সঙ্গে পড়াশোনা নিয়ে স্যারদের বাসায় যেয়ে আলোচনা করে! রসায়ন প্রাইভেট পড়ে গোলাম কিবরিয়া স্যারের কাছে কিন্তু সমস্যার সমাধান করে আনে বাপন স্যারের কাছ থেকে! আইসিটির অনুপম স্যারের ঘনিষ্ঠ সাহচর্য।

এভাবে চলল অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা, এরমাঝে এলো উদ্ভাসের জিনিয়াস পরীক্ষা। সরকারি কলেজের এত প্লাস পাওয়া ছেলেপেলে পরীক্ষা দিবে, এরপর আরও ৫-৬টা কলেজ তো আছেই, সেখানে জিপিএ ৪.৪১ পাওয়া একটা ছেলে কিভাবে চিন্তা করতে পারে। কিন্তু ফলাফলে অবস্থান আসলো দ্বিতীয়। এটা দেখে বায়োলজির শিক্ষিকা ফারহানা ম্যাম তো অনেক খুশি হলেন। কোনো সমস্যা থাকলে ছুটির পরও তিনি ওই শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে বুঝিয়ে দিতেন।+

আরও পড়ুন: শেরপুরে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত শতাধিক গ্রাম, পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু

আর প্রায় সময়ই পড়াশোনার গাইডলাইন দিতে লাগলেন, তুমি যেভাবে পড়ছ, এটা এডমিশনের পড়া, বোর্ডের পরীক্ষায় এভাবে না পড়লেও হবে। এরপর বোর্ডের পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এল। কিন্তু এর আগে চলে আসল করোনা। নানা টালবাহানার পর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ঘোষণা করলেন অটো পাস। অবস্থা তো যায় যায়। এত দিনের কষ্ট কিন্তু আমলনামা সেই অতীত অনুযায়ী! অটো পাসে রেজাল্ট এল ৪.৪৫। ভেঙে পড়লো ওই শিক্ষার্থী! এই রেজাল্ট দিয়ে তো কোথাও পরীক্ষাতেই বসা যাবে না! কারণ অটো পাসে প্লাস সেই এসএসসির হারেই এসেছে। সম্ভাব্য অনিশ্চয়তার রেখা টেনে ওই শিক্ষার্থী কোচিং না করে বাসায় চলে গেল। অবশেষে সত্যিই ঢাবি ও গুচ্ছ বাদে কোথাও পরীক্ষায় বসা যায়নি। গুচ্ছতে একেবারে শেষের সিলেকশনে পরীক্ষা দিতে সিলেক্টে হলো।

এর মধ্যে গুচ্ছ পরীক্ষার দুই-তিন দিন আগে চবি থেকে ম্যাসেজ করে পরীক্ষায় বসার আবেদন বাতিল করলো কারণ সে এসএসসিতে অনিয়মিত। ঢাবির এক্সামে রসায়নে যাওয়ার আগেই সময় শেষ, এখন হাতে গুচ্ছ আর চবি, এর মাঝে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা দিলো চবি! কিন্তু যতই হতাশা আসুক, শিক্ষকের অনুপ্রেরণা থাকলে তাকে তো উঠে দাঁড়াতেই হবে!

ফারহানা ম্যাম ওই সময়টাতে ফোনে নিয়মিত পরামর্শ দিতেন। ম্যাম বললেন, ‘আমিও তো ঢাকার বাইরে মেডিকেলে চান্স পেয়েও ঢাবিতে পড়েছি। তুমি মেডিকেলে পরীক্ষা দিতে পারোনি সমস্যা নাই তুমি যেকোনো একটা ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে ওইখানে অনেক ভালো করো তাহলে তোমার অতীত কেউ দেখবে না।’

ম্যামের অনুপ্রেরণায় পরীক্ষা দিলো, ভর্তি হলো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিদায় নিয়ে আসার সময়, ওই শিক্ষার্থী বিল্লাল স্যারের বাসার সামনে উপস্থিত। বিল্লাল স্যার একটা কথা বলার সাথে সাথেই ঘরের দরজা লাগিয়ে দিলেন। স্যার বললেন, যেদিন ভালো কিছু করবা, সেদিন এসো। শিক্ষক হয়তো চাননি কলেজ লাইফেই শেষের এই ফরম্যালিটিতেই শেষ হয়ে যাক ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক। শিক্ষকের শেষ কথাটিও হয়তো ওই শিক্ষার্থীর পরবর্তী সময়ের এগিয়ে যাওয়ার সম্বল হবে!

আরও পড়ুন: ফেসবুকে ভুয়া পোস্ট, থানায় জিডি ঢাবি শিবির সভাপতির

ওই শিক্ষার্থী খুব বেশি কিছু অর্জন করেছে, এমনটা বলছি না। তবে ফেইল করা একটা শিক্ষার্থীকে ভার্সিটি পর্যন্ত আনতে শিক্ষকদের যে ভূমিকা তা অবিস্মরণীয়। তাদের কথা স্মরণ হলে সত্যিই শ্রদ্ধায় মনটা ভরে যায়। এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে একই বিষয়ের অন্য শিক্ষক থেকে পড়ার সমাধান নেয়! এটাই শিক্ষাগুরুর উদারতা।

আজকের এই শিক্ষা দিবসে মানুষ গড়ার কারিগর সেই শিক্ষাগুরুদের স্যালুট জানাই। সেই শিক্ষার্থী হলাম আমি আর আমার কলেজ ছিল, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। কলেজের উল্লেখিত শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলীর বাইরেও অনেক শিক্ষক ছিলেন, যাদের অবদানও অবিস্মরণীয়। শ্রেণি শিক্ষক আঞ্জুমান আরা ম্যাম, আইসিটির ইফ্ফাত ম্যামসহ কলেজের সব স্যার-ম্যাডামের প্রতি স্যালুট রইলো।

আমি বর্তমানে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছি। আল্লাহর রহমতে এই শিক্ষালয়েও দলমত-নির্বিশেষে সব শিক্ষকের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার সৌভাগ্য হচ্ছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমার জীবনে যেসব শিক্ষাগুরু ছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো, মহান আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ রইলো, আমাকে আপনাদের দোয়ায় রাখবেন।

লেখক: মেহেদী হাসান খান সিয়াম, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence