দাখিলে এবার পরীক্ষার্থী প্রায় তিন লাখ, গতবারের চেয়ে বেড়েছে ৫৩ হাজার

  © সংগৃহীত

আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষা। গেলবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধলাখেরও বেশি বেড়েছে। ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭২৬ জন পরীক্ষার্থী। বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মো. নূরুল হক।

তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে নানা ইস্যুতে মাদ্রাসায় পড়তে আগ্রহ হারাতেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা কমেছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাদ্রাসায় পড়তে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।’ 

জানা গেছে, গত বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। সে হিসেবে এ বছর বাড়ছে ৫৩ হাজার ৪১৩ জন পরীক্ষার্থী। 

আরো পড়ুন: বেতন ছাড়া ৭ মাস, ডিডির পদত্যাগ চেয়ে মাউশিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে। দাখিল পরীক্ষা আগামী মাসের ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত। তত্ত্বীয় পরীক্ষা হবে নির্ধারিত তারিখে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। ১৪ থেকে ১৮ মের মধ্যে দাখিলের ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। 

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছর ধরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। তবে চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষা পূর্ণ সিলেবাস এবং পূর্ণমান ও পূর্ণসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে গেল বছরে প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৪ হাজার ২০৬ জন। 

পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলী

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে হবে।

২. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

৩. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিনদিন আগে সংগ্রহ করবে।

৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।

৪. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাতে হবে।

৫. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৬. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ডে উল্লিখিত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।

৭. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।

৮. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।

৯. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।

১০. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

১১. পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাতদিনের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ