বাগেরহাটে ৪ এবং গাজীপুরে ৫টি সংসদীয় আসনই থাকবে
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৩ PM
বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ আদেশ ঘোষণা করা হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার পোদ্দার, অ্যাডভোকেট ফয়সাল মোস্তফা, অ্যাডভোকেট রাজিয়া সুলতানা, ব্যারিস্টার কাজী সামান্তা এনাম, অ্যাডভোকেট আমিনুজ্জামান সোহাগ, অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ও অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।
আরও পড়ুন: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর, লটারি ১৪ ডিসেম্বর?
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে বাগেরহাটের আসন কমানোর বিষয়ে ইসির গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা নিয়েও রুল জারি করা হয়। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতি দুটি পৃথক রিট দায়ের করে। রিটে বিবাদী করা হয় বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে রাজনৈতিক দলগুলো সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গঠন করে আন্দোলনে নামে এবং হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে চারটি আসনের পরিবর্তে তিনটি আসন রাখা হয়। গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২; এবং কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ গঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পূর্বের বণ্টন অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট, বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া, বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।