স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষা দিচ্ছে ডিআইইউ
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০৮ PM , আপডেট: ০১ মার্চ ২০২০, ০৫:৪৮ PM
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) দেশের অন্যতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ বি এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর হাত ধরে ১৯৯৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ টি অনুষদের আওতায় মোট ১০টি বিভাগ রয়েছে। ২টি সিটি ক্যাম্পাস ( গ্রীন রোড, বনানী) এবং সাতারকুলের স্থায়ী ক্যাম্পাসে তাদের শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কম খরচে মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়টি পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষার উপরও সমানভাবে গুরুত্ব দেয়। ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য এখানে রয়েছে বেশকিছু ল্যাব। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস। এছাড়া রয়েছে ইনডোর এবং আউটডোর খেলাধুলার ব্যবস্থা।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে কর্মরত আছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. কে এম এম মহসিন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমসহ বেসরকারি খাতে উচ্চশিক্ষার সার্বিক বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এর সঙ্গে কথা বলেছেন অধ্যাপক ড. কে এম এম মহসিন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিহাব উদ্দিন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ১০৫টি। অথচ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান খুবই নিম্নমানের বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা কী?
অধ্যাপক ড. কে এম এম মহসিন: দেখুন ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ভাল হবে এটি আশা করা ঠিক না। কারণ অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কার্যক্রমই শুরু করতে পারেনি। তবে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অনেক ভাল। এমনকি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাইরের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ভাল করছে। অবকাঠামো, ভাল শিক্ষক এবং কম টিউশন ফি এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অবশ্যই ভাল হবে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই তিনটি বিষয়ের উপর বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গুণগত মান অনেকাংশেই নির্ভর করে যোগ্য ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের ওপর। যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে আপনারা কি ধরনের নীতিমালা অনুসরণ করেন? আর প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কী উদ্যোগ নিয়ে থাকেন?
অধ্যাপক ড. কে এম এম মহসিন: যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান কখনোই ভাল হতে পারে না। তাই আমরা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করি। আমরা প্রথমে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি। এরপর যারা আবেদন করেন তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত প্রার্থীদের আমরা মৌখিক পরীক্ষা নেই। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে ডেমো ক্লাস নিতে বলি। ডেমো ক্লাসে যারা ভাল করে তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে থাকি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো— গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি এবং পাঠদানের মাধ্যমে তা বিতরণ করা। গবেষণায় আপনারা কেমন গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?
অধ্যাপক ড. কে এম এম মহসিন: আমরা গবেষণার দিকটিতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ গবেষণা না থাকলে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হয় না। আমাদের শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষণা করে থাকে। সেই গবেষণার ফলাফল বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়। গবেষণার জন্য আমরা ফান্ডের ব্যবস্থা করি। উচ্চতর গবেষণার জন্য আমরা শিক্ষকদের মাঝে মাঝে বিদেশেও পাঠাই। গবেষণার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন পরিচালক রয়েছেন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: চাকরির বাজারে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েটদের সফলতা কেমন?
অধ্যাপক ড. কে এম এম মহসিন: একজন শিক্ষার্থী লেখাপড়া শেষ করে যেন চাকরি পায়, আমরা সেভাবেই তাদেরকে গড়ে তুলছি। ফলে আমাদের এখান থেকে পাশ করার পর কেউ বেকার থাকছে না। আমরা শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজার সম্পর্কে ধারণা দিতে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে থাকি। ট্রেনিংয়ের ফলে চাকরির বাজার সম্পর্কে তারা ধারণা পায়। এছাড়া যারা বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করতে চায় অথবা যারা সরকারি ব্যাংকগুলোতে চাকরি করতে চায়; আমরা তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ ট্রেনিং দিয়ে থাকি। এছাড়াও আমরা প্রতিবছর ফার্মা জবসহ বিভিন্ন জব ফেয়ারের আয়োজন করি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে যারা জানতে চায়, সেসব শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য কী?
অধ্যাপক ড. কে এম এম মহসিন: কম খরচে পরিপূর্ণ শিক্ষা এই লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি যাত্রা শুরু করে। আমাদের এখানে শিক্ষার্থীদের লোখাপড়া, খেলাধুলাসহ সব বিষয়ে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে প্রতিনিয়ত কোর্স ফি বাড়ানো হয় সেখানে আমরা কম খরচে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত করি। আমি অভিভাবকদের বলব আপনাদের ছেলে-মেয়েকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করান। এখানে গবেষণা এবং লেখাপড়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমরা আপনার সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বদ্ধপরিকর।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
অধ্যাপক ড. কে এম এম মহসিন: আপনাকেও ধন্যবাদ।