সিরিয়াল দেখে ভাঙছে সংসার, ঘটছে আত্মহত্যা

আশিকুর রহমান লিয়ন
আশিকুর রহমান লিয়ন  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন আশিকুর রহমান লিয়ন। তিনি ২০০৯ সালের ১ আগস্ট থেকে এই বিভাগে কর্মরত ছিলেন নাট্য অভিনেতা, নির্দেশক ও ডিজাইনার হিসেবে। সম্প্রতি তিনি তার জীবন ও কর্ম নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথাগুলো শুনেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের—তাওফিকুল ইসলাম হিমেল।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি কেমন আছেন, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছ।
আশিকুর রহমান লিয়ন: ভালো আছি, শিক্ষকতা আর শিল্পচর্চা নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহন করছি। আমি ডেইলি ক্যাম্পাসের একজন নিয়মিত পাঠক। খেয়াল করেছি, ডেইলি ক্যাম্পাস সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে। সকলের সামনে তাদের কথাগুলো তুলে ধরছে। পাশাপাশি বর্তমানে তারা দেশ-বিদেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ সংবাদ উপহার দিচ্ছে পাঠকদের।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। এ বিভাগে শিক্ষার্থীদের কি পড়ানো হয়?
আশিকুর রহমান লিয়ন: এটি একটি বিশেষায়িত বিভাগ। এই বিভাগের প্রিলিমিনারি মাস্টার্সের কার্যক্রম মূলত ১৯৯৪ সাল থেকে শুরু হয়। তারপর ১৯৯৭ সাল থেকে অনার্সের কার্যক্রমও শুরু হয়। প্রথমে এই বিভাগটি নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগ নামে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে নাট্যকলা এবং তারপর এই বিভাগের নাম হয় থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ।

আমরা মূলত এখানকার শিক্ষা কার্যক্রমে নাট্য উপস্হাপনা কৌশল, পরিবেশনার ধরণ-রীতি, অভিনয় ও ডিজাইন-ডিরেকসন বিষয় সমূহকে প্রাধান্য দেই। এতে ব্যবহারিক প্রয়োগ ও বিশ্লেষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। চার বছরের অনার্স কার্যক্রম শিক্ষার্থীরা মোট আটটি সেমিস্টারে মোট ১৫২ ক্রেডিটের মাধ্যমে শেষ করে। এই আটটি সেমিস্টারে- যথাক্রমে ট্রাজেডি, কমেডি, ভারতীয় ধ্রুপদী নাট্য, দেশজ নাট্য, ইউরো-আমেরিকান নাটক, বাংলা মৌলিক নাট্য- উপস্হাপনে অভিনয়, ডিজাইন, নির্দেশনা বিষয়ে তত্বীয় ও ব্যবহারিক প্রয়োগের সমন্বয়ে পাঠদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি ও এ্যাপ্লাইড থিয়েটার বিষয়ে পাঠদান করা হয় যথা- থিয়েটারে সমাজতত্ব, থিয়েটারের নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষন, রিসার্চ মেথডোলজি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, টেলিভিশন প্রোগ্রাম মেকিং, উন্নয়ন নাট্য, শিক্ষাদানে নাট্য ইত্যাদি কোর্স উল্লেখযোগ্য।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সময়ের সঙ্গে এখানকার সিলেবাস-পাঠদান পদ্ধতি কেমন আধুনিক হচ্ছে? 
আশিকুর রহমান লিয়ন: ১৯৯৪ সালের পর থেকে বেশ কয়েকবার আমাদের বিভাগের নামের পরিবর্তন হয়েছে। যার মূল কারণ আধুনিক সময়ের বৈচিত্র্যময় শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিলাবাসকে পরিবর্তন করা। নিকট ভবিষ্যতে আমাদের আরো নতুন কিছু যুগোপযোগী কোর্স যুক্ত হবে।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল চুয়েট শিক্ষার্থীদের চলচ্চিত্র

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার কেমন? এখানে পড়ে আসলে শিক্ষার্থীরা কেমন সাফল্য পাচ্ছেন?
আশিকুর রহমান লিয়ন: বাংলাদেশে আমাদের একটি বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে যে, শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ে পড়াশোনা করে কর্মক্ষেত্রে তাদের বড় একটা অংশ সেই বিষয় ভিত্তিক প্রফেশনে যেতে পারে না। এই বাস্তবতা সকল বিভাগের জন্য একই। বর্তমানে বাংলাদেশে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার প্রবনতা বেড়ে গেছে; আমাদের বিভাগও তার ব্যতিক্রম নয়। আমাদের বিভাগ থেকেও শিক্ষার্থীদের বিসিএস ক্যাডার হচ্ছে, ব্যাংকার হচ্ছে কিংবা পুলিশ হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো- শিক্ষা জীবনে যে শ্রম আর নিষ্ঠার সাথে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে, পেশাদারী জীবনে সেই শ্রম আর নিষ্ঠার যথার্থ মূল্যায়নের প্রেক্ষাপট অধরা থেকে যায়।

সম্প্রতি দেশে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে এই বিভাগ চালু করা হয়েছে। যেখানে এই বিষয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হিসেবে চাকরির সুযোপ পাচ্ছেন। জাতিসংঘ, সরকারী এবং এনজিও ভিত্তিক উন্নয়নমূলক ও মানবাধিকার বিষয়ক বিশ্লেষন ও অংশগ্রহণ মূলক পরিবেশনা এই বিষয়ের একটি উল্লেখযোগ্য কাজের জায়গা। যেমন আমাদের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাইমেট চেঞ্জ, পরিবার-সমাজ, রাজনীতি, ধর্ম, রাজনীতি, মাদক, ভুমি হীনদের সংকট, শিক্ষা ব্যবস্হা, রোহিঙ্গা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি বিষয় বা ইস্যু নিয়ে কাজ করছেন। এ্যাপ্লাইড থিয়েটার ভিত্তিক এসকল সেক্টরে শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক আদর্শ পারশ্রমিক পান।

মঞ্চ অভিনয়-নির্দেশনা-ডিজাইন, টিভি-চলচ্চিত্রে অভিনয়, নিউজ প্রেজেন্টেশন, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, টিভি চ্যানেল, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, রেডিও ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। অমসৃণ পেশাদারী এই পথ-পরিক্রমায় যারা ধৈর্য সহকারে সংগ্রাম করছেন, তারা একটা সময় পর টিকে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের দর্শনগত দিক ও পেশাদারী মনভাব সমুন্নত ও বলিষ্ঠ করার লক্ষে বিভাগের বেশিরভাগ ব্যবহারিক পরীক্ষা দর্শক সম্মুখে প্রদর্শিত হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবস্থায় দর্শকদের মোকাবেলা করার মাধ্যমে পেশাদারী জীবনের কঠিন পথ পাড়ি দেয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সুযোগ পান।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পেশাদার জীবনে আপনি একজন সফল ব্যক্তিত্ব।
আশিকুর রহমান লিয়ন: সাফল্যের কথা যদি বলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকতার পাশাপাশি আমি নাট্য নির্দেশনা, অভিনয়, ডিজাইন কর্মের যুক্ত আছি। আমার নির্দেশিত ১০টি নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক, যেমন- ‘হ্যামলেট’, ‘নিশিমন বিসর্জন’, ‘অপরেরা’, ‘রাইডার্স ট্যু দ্য সী’, ‘মৃচ্ছকটিক’, ‘শ্রাবন ট্রাজেডি’, সর্বশেষ ‘ডেথ অব এ সেল্সম্যান’ দেশের ও দেশের বাইরে মঞ্চ নাটকের দর্শকদের মাঝে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এর বাইরে শিক্ষকতা ও ফ্রিল্যান্স নাট্য নির্দেশনা এবং মঞ্চ-পোশাক ও আলোক পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশের উল্লেখযোগ্য পেশাদারী নাট্যদল ওপেন স্পেস থিয়েটার প্রযোজিত ‘এন্ড দেন দেয়ার ওয়ার নান’ নাটকে উল্লেখযোগ্য একটি চরিত্রে নিয়মিত অভিনয় করি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস:  আপনার বেশকিছু গবেষণাপত্র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ  জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, এখন অনেক শিক্ষকের গবেষণায় মন নেই। এমনটি কেন হয়?
আশিকুর রহমান লিয়ন: গবেষনা পদ্ধতির ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়  প্রাচীন সময়ের ধরাবাঁধা নিয়ম থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। গবেষণার ক্ষেত্রে এটা একটি সংকট। আমাদেরই অনেক শিক্ষক দেশের বাইরে পারফরম্যান্স ভিত্তিক পিএইচডি রিসার্চ করছেন। "অনেক শিক্ষকের গবেষণা মন নেই’’ এই কথাটি আমি সমর্থন করি না। অনেক গবেষনা হচ্ছে, কাজ হচ্ছে। হয়তো আলোচনা হচ্ছে কম। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: গবেষণা কর্মে  চুরির অভিযোগ উঠছে অনেকের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারটা কিভাবে দেখছেন?
আশিকুর রহমান লিয়ন: শিক্ষকতা হলো নৈতিকতার পেশা। সেখানে যদি ’চুরি’ শব্দটি যুক্ত হয় তখন শিক্ষকতার কোন অর্থই থাকেনা। এটা দুঃখজনক। এ বিষয়ে এর বাইরে আর কিছু বলার নেই।

আরও পড়ুন: কলকাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালক ঢাবি ছাত্র

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। এসব সম্মেলনে আসলে কি হয়? কতটুকু জরুরি এ ধরনের সভা-সেমিনারে যোগ দেয়া।
আশিকুর রহমান লিয়ন: আমি ২০০৯ সালের পর থেকে অনেক বিদেশি সেমিনার, সম্মেলন, পার্ফরম্যান্স, নাট্যোৎসবে অংশ নিয়েছি।

কথায় আছে “জ্ঞান অর্জনের জন্য তুমি সুদূর চীনে যাও”। আমাদের শিক্ষার্থী-পারফর্মারদের জন্য এটা খুবই জরুরি। আন্তর্জাতিক নাট্যশিক্ষার ধরণ-নীতি, বৈচিত্র্যতা ইত্যাদি বিষয়ে নব্য চিন্তার উন্মেষ ঘটে বাইরের দেশের গ্রোগ্রামগুলোতে। এগুলোর জন্য বাইরের দেশের প্রোগ্রামগুলোতে অংশ নেয়া অনেক বেশি জরুরি। এতে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখনকার চলচ্চিত্র ও নাটক নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
আশিকুর রহমান লিয়ন: আমি যখন এখনকার নাটক সিনেমা দেখি তখন আমার মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সিনেমার কথা মনে পড়ে যায়। আমি কোনোভাবেই ওই সময়ের ’‘ওরা এগারো জন’’ কিংবা জহির রায়হানের চলচ্চিত্রের সাথে এখনকার চলচ্চিত্রকে মেলাতে পারি না।

শুরুর দিকে আমাদের চলচ্চিত্রে নিজস্ব একটি ধারা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এটি আস্তে আস্তে বিলীন  হয়ে গিয়েছে। এখনকার আমাদের কমার্শিয়ার মুভিগুলো ভারতীয় মুভির অনুকরণে করা; যা আমাদের সংস্কৃতির ধারক নয় কোন ভাবেই । খান সাহেব ও চৌধুরি সাহেবের কন্সেপ্ট কিংবা মেলোড্রামাটিক ফিকসন থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি। তবে বর্তমানে চলচ্চিত্র নির্মাণ পদ্ধতিতে আধুনিক উপাদানের যথার্থ ব্যবহার হচ্ছে চোখে পড়ার মত।  এটা আমাদের অর্জন। তবে বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্রসমূহ কতটুকু বাংলাদেশের স্বকীয় বিষয়াদি উপস্থাপনে সক্ষম হচ্ছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। বর্তমান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জীবন ও চরিত্র উপস্হাপনে ছন্দ পাঠ এবং বৃহৎ ক্যানভাস উপস্হাপনে বৈচিত্রময় শর্ট নির্বাচনে অপারঙ্গমতা চোখে পড়ে পুনঃপুন। ভাল চলচ্চিত্র নির্মানের ক্ষেত্রে এফ ডি সি কেন্দ্রীক চলচ্চিত্র আঙিনায় বিজ্ঞ, আদর্শ, দেশপ্রেমিক, শিক্ষিত, রুচিশীল মানুষের অভাব প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। কিছুটা মন খারাপ হয় যখন দেখি কোলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে ছোট হওয়া সত্বেও আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত হয়ে গিয়েছে।

আমাদের নাটক ইন্ডস্ট্রি অনেক উন্নত ছিলো। এটা নষ্ট হচ্ছে ওটিটির কারণে। আমরা না পাচ্ছি ভালো কোনো কন্টেন্ট না পাচ্ছি একজন ভালো নির্মাতা। সবাই যার যার মতো করে ভিউজের জন্য যাচ্ছেতাই বানাচ্ছে। আমাদের আগের নাটকগুলো কিন্তু সামাজিকতার মধ্যে থেকে কালচারকে রিপ্রেজেন্ট করতে পেরেছে?

‘অয়োময়’, ’না’, ‘দ্বিচক্রযান’, ‘রঙের মানুষ’, ‘গহর গাছি’, ‘নাল পিরান’ ইত্যাদি নাটকগুলো থেকে কিন্তু গন্ধ বেরোয়নি। এই নাটকগুলোর নাম এখনো মনে আছে আমাদের। কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের এই প্রজন্মের নাটকের নাম মনে থাকবে কিনা সেটা নিয়ে আমি সন্ধিহান।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ঠিক বলেছেন। যে যেভাবে পারছে নাটক-সিনেমায় কাজ শুরু করছেন। এদের অনেকের কোনো ধরনের একাডেমিক জ্ঞান থাকে না। তাহলে এ প্রতিযোগিতায় কি আপনাদের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে?
আশিকুর রহমান লিয়ন: না, আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই পিছিয়ে যাচ্ছে না। আমাদের দেশের মিডিয়ায় কেউ-কাউকে জায়গা করে দেয় না। এখানে সবাইকে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা গভীর অনুশীলনের মাধ্যমে একজন পেশাদারী অভিনেতা, ডিজাইনার ও নির্দেশক হিসেবে নিজেকে তৈরি করে, যাতে করে ঐ স্ট্রাগলটি যথার্থ ভাবে সে করতে পারে।

আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী অয়নকে বাঁচাতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার পছন্দের অভিনেতা কারা?
আশিকুর রহমান লিয়ন: দেশের মধ্যে হুমায়ন ফরিদি, এ টি এম সামসুজ্জামান, চঞ্চল চৌধুরি, সুবর্না মোস্তফা, আফরান নিশো, সাবিলা নূর, তানজিন তিশা, বিপাশা হায়াত, শমি কাইসার, মোশারফ করিম, আরো অনেকে আছে। যাদের নাম এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। এছাড়া দেশের বাইরে রয়েছেন আলপাচিনো, টম হ্যাঙস, ব্র্যাডপিট, লিওনার্দো ডিকাপ্রিও, এডওয়ার্ড নর্টটন, কেট উইন্সলেট, রবার্ড ডি নিরো, কেনোরিব্স, আমির খান, রনবীর,  আরো অনেকে রয়েছেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সর্বশেষ একটা প্রশ্ন। দেশে ভারতীয় অনেক টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার রয়েছে। এসব চ্যানেলগুলো হিন্দি সিরিয়াল, বিভিন্ন ক্রাইম প্রোগ্রাম সম্প্রচার হয়। এসব সম্প্রচারগুলো দেশের মিডিয়ায় কতটুকু প্রভাব ফেলছে?
আশিকুর রহমান লিয়ন: ভারতীয় এসব চ্যানেলের সিরিয়াল প্রোগ্রামগুলো ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে। আমাদের সমাজে পারিবারিক দ্বন্দ্বের অনেক বড় একটা কারণ এই সিরিয়াল।

আবার ডিভোর্স থেকে শুরু করে আত্মহত্যা, হত্যা, গুম, মাদক সেবন ইত্যাদির পেছনে হাত রয়েছে এই সিরিয়ালগুলোর। অন্যদিকে যে ক্রাইম প্রোগ্রামগুলো দেখানো হয়, সেগুলোতে প্রভাবিত হয়ে এবং উপস্হাপিত পদ্ধতি অনুসরণ করে হরহামেশায খুনখারাবি হচ্ছে। পত্র-পত্রিকা খুললেই ভারতীয় সিরিয়ালের বিরূপ প্রভাব বেরিয়ে আসছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
আশিকুর রহমান লিয়ন: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের জন্যও শুভ কামনা রইলো।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence