হিমোগ্লোবিনের অভাবে কী হয়, ১০ ধরনের খাবারে বাড়বে হিমোগ্লোবিন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৫ PM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৪ AM
রক্তকোষে লৌহসমৃদ্ধ এক ধরনের প্রোটিন হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। এর উপস্থিতির কারণেই রক্তের রঙ লাল। এটির মূল কাজ হলো রক্তের মাধ্যমে দেহের প্রতিটি অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া। সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা প্রয়োজন। একজন পুরুষের দেহে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম; নারীদের ১২-১৫.৫/১৬ গ্রাম। তবে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাব হলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঝিম ধরা, ক্ষুধামান্দ্য ও দ্রুত হৃৎস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা যায়। যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক কম হয়, তবে রক্তাল্পতা বা এর চেয়েও মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। নারীদের ঋতুচক্রের সময়, গর্ভাবস্থায়, শিশুদের বেড়ে ওঠার সময়, রোগ থেকে সেরে ওঠার মুহূর্তে লৌহের বেশি দরকার হয়।
চলুন জেনে নিই যেসব সাধারণ খাবার খেলেই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে
লৌহযুক্ত খাবার:
শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। লৌহসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মুরগির কলিজা, ঝিনুক, ডিম, বেদানা, তরমুজ, কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ ইত্যাদি।
ভিটামিন সি:
ভিটামিন সি-এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তা ছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া লৌহ পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। পেঁপে, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, সবুজ ফুলকপি (ব্রকোলি), আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।
ফলিক অ্যাসিড:
ফলিক অ্যাসিড একপ্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এটি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, সবুজ ফুলকপিতে অনেক ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
কচু জাতীয় খাবার:
কচু, কচু শাক, কচুর লতি ও কচুমুখীতে উচ্চ পরিমাণে আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য।
বিটরুট:
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম। এটি লাল রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে
সজনে পাতা:
জিংক, লৌহ, তামা, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজসহ ভিটামিন এ, বি, সি দ্বারা পূর্ণ সজনে পাতা। সজনে শাক নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যাবে।
তিল:
কালো তিলে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, জিংক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি৬, ই ও ফোলেট। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
আপেল:
দিনে একটি করে আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরও নানা প্রকার পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন খোসাসহ একটি আপেল খান। অথবা সমানুপাতে আপেল ও বিটের রস মেশাতে পারেন।
ডালিম:
আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের জুস খান।
ডার্ক চকলেট:
শিশুদের প্রিয় খাবার ডার্ক চকলেটেও থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আর এ কারণেই এমনকি ডাক্তাররাও ডার্ক চকলেট খেতে বলে।