করোনার নতুন ধরনে শিশুদের বিপদ বেশি, দাবি বিশেষজ্ঞদের
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২, ১১:৩৮ AM , আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২২, ১১:৩৮ AM
বিশ্ব জুড়ে করোনার দাপট ফের ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এর পিছনে মূলত রয়েছে বিএ.২ স্ট্রেন। তবে গবেষণায় এই স্ট্রেনের আরও একটি দিক উঠে এসেছে। নতুন ধরনে শিশুদের ঝুঁকি বেশি।
হংকংয়ে শিশুদের উপরে করা একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য স্ট্রেনের তুলনায় তো বটেই, ইনফ্লুয়েজ়া এবং প্যারাইনফ্লুয়েজ়ার চেয়েও বেশি গুরুতর সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম বিএ.২ স্ট্রেনটি। যদিও এই রিপোর্ট প্রাথমিক পর্যায়ের বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এদিকে করোনার প্রতিষেধকের চতুর্থ ডোজ় দেওয়ার ঘোষণা করেছে এল সালভাডর। তৃতীয় ডোজ় নেওয়ার ৯০ দিন পরে চতুর্থ ডোজ়টি নিতে হবে বলে সে দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন। নাগরিকদের চতুর্থ ডোজ় দেওয়ার দিকে ঝুঁকেছে অস্ট্রেলিয়াও। একই পথে হাঁটছে জার্মানি।
রোববার (২৭ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় দেড় হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪১ জনে।
আরও পড়ুন: অস্কারে অংশ নেবেন জেলেনস্কি!
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় আড়াই লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭৫১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৩২৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৪ হাজার ৬১৭ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৭২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১৩ জনের।