পরীক্ষা হয়নি সেই সিরাপ, বাকিগুলোতে ত্রুটি নেই: ঔষধ প্রশাসন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২২, ০৪:৪১ PM , আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২২, ০৪:৪১ PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ’ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নাপা সিরাপের একটি ব্যাচ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এর মানে কোনো সমস্যা পায়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে যে দুই শিশু যে প্যারাসিটামল সিরাপ ‘নাপা’ খেয়েছিল তা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
সোমবার (১৪ মার্চ) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘নাপা সিরাপে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তিনটি ব্যাচের দুটি করে ছয়টিসহ অভিযুক্ত দোকান থেকে সংগৃহীত আরও দুটি সিরাপের মান পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওষুধের গুণগতমান সঠিক ছিল। দোকান থেকে আটটি বোতল সংগ্রহ করা হয়। সবগুলোতেই ফল পজিটিভ এসেছে। এসব সিরাপে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি।
তবে দুই শিশু যে প্যারাসিটামল সিরাপ ‘নাপা’ খেয়েছিল তা পুলিশের হেফাজতে থাকায় পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলেই জানা গেছে।
আরও পড়ুন: শিশুর মৃত্যু, নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশন রহস্যজনক
অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে দুটি প্রতিনিধিদল ও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস থেকে প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছিল। একই সঙ্গে তাদের তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সারা দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা পাঠিয়েছি। সারা দেশেই নির্দিষ্ট ওই ব্যাচের নাপা সিরাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আশা করছি, ঘটনার মূল কারণ খুব শিগগিরই বেরিয়ে আসবে।
এর আগে, গেল ১০ মার্চ রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামের দুই শিশু মারা যায়। তাদের মা লিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, নাপা খাওয়ার পর তারা মারা গেছে। ওই ঘটনা তদন্তে আলাদা দুটি কমিটি গঠন করা হয়। আগামী মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) যে কোনো সময় তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন।