নিয়োগ-বদলি ও শৃঙ্খলা পরামর্শে গঠিত জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি বাতিল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য গঠিত ‘জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি’ বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

ছয় সদস্যের এই কমিটির সভাপতি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। কমিটিতে আরও সদস্য ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, যুগ্ম-সচিব এবং এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে গত ৮ জানুয়ারি ‘জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি’ গঠন করা হয়েছিল। তখন কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। পরে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগ দিতে পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এসএসসি-এইচএসসি পেছানোর ইঙ্গিত দিল নির্বাচন কমিশন?

তার পর তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা হওয়ার পর গত ২০ মার্চ মো. মাহফুজ আলমকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়। পরবর্তীতে ২৫ আগস্ট কমিটিতে পরিবর্তন এনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে সদস্য সচিব করা হয়। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

তবে সর্বশেষ ২১ সেপ্টেম্বর কমিটি পুনর্গঠন করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে সদস্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

এর মধ্যেই গত ২৭ অক্টোবর সাবেক সিনিয়র সচিব শামসুল আলম একটি ফেসবুক পোস্টে জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি ও সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, “এই কমিটি ও এসএসবি যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকে দুর্নীতিবাজদের সুযোগ করে দিয়েছে।”

শামসুল আলম আরও লিখেছেন, “রুলস অব বিজনেসের বাইরে গিয়ে করা এই অন্যায্য কমিটি মোখলেসের দুর্নীতিকে বৈধতা দিয়েছে। কোটি কোটি টাকায় সচিব পদ বিক্রি হয়েছে তাদের হাত দিয়ে।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অনুমোদনের পরও যোগ্য কর্মকর্তাদের প্রাপ্য পদে বসানো হয়নি। এত অবিচার বাংলার ইতিহাসে বিরল।”


সর্বশেষ সংবাদ