যে কারণে এমপিভুক্ত শিক্ষকদের আইনের দায়বদ্ধতায় আনতে চান শিক্ষা উপদেষ্টা

অধ্যাপক সি. আর. আবরার
অধ্যাপক সি. আর. আবরার  © সংগৃহীত

এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে; যেখানে এক থেকে দেড়শ শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পরীক্ষা দেন মাত্র ১০-১২ জন, অথচ সেখানে ১৫-২০ জন শিক্ষক রয়েছেন। সরকার ঠিকমত বেতন দিচ্ছে; এমন অপচয় রোধের বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। আর এসব কারণেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আইনের বাধ্যবাধকতায় আনা উচিত।

সোমবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরার।

তিনি বলেন, ‘আইনের মধ্যেই বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তবে সরকার সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেনি। এবার আমরা আইনের আওতায় থেকেই বড় পরিসরে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করব। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যে ঘাটতি রয়েছে, তা স্কুলের মাধ্যমেই শোধরানো হবে।’

তার ভাষ্য, এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর যেসব শিক্ষক ক্লাস বাদ দিয়ে অন্য কাজে নিয়োজিত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। ‘অনেক শিক্ষক আছেন, যারা ক্লাস না নিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। যেহেতু সরকার এমপিও কার্যক্রমের আওতায় তাদের নিয়োজিত করছে এবং বেতন দিচ্ছে, তাই তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’

সি. আর. আবরার জানান, ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে খারাপ ফলাফল হয়েছে- অর্থাৎ শূন্য বা ১০ শতাংশের নিচে পাসের হার- সেসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফলের কারণ অনুসন্ধান করা হবে। একই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান পূর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে এবং পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার স্থিতিশীল রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরও ডাকা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা গেলে ফলাফল উন্নত করা সম্ভব-আমরা তার যথার্থ উদাহরণ পেয়েছি। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রতিষ্ঠান যথাযথ যাচাই ছাড়াই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। সেই প্রেক্ষিতে নন-পারফর্মিং প্রতিষ্ঠানগুলো মার্জ করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।’


সর্বশেষ সংবাদ