শোকজের প্রতিক্রিয়ায় যা জানালেন ডিসি সারওয়ার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩১ PM , আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩১ PM
সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে আদালত। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘এখতিয়ারবহির্ভূত ও বেআইনি সাময়িক বরখাস্তের আদেশ’ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক মামলায় সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এ আদেশ জারি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এ এইচ ইরশাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো ধরনের নিয়োগপত্র বা পদোন্নতি ব্যতীত স্ব-প্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক এ প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল ইনচার্জের (নারী) ও ভাইস প্রিন্সিপাল ইনচার্জের (পুরুষ) দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ ছাড়া, বিদ্যালয়ে কর্মরত অন্য শিক্ষকদের অভিনন্দন জানাতে বাধ্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পদবি হালনাগাদ করণসহ বহুল প্রচারের জন্য স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রেস রিলিজ প্রচার করেছেন। যা খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশনের বিধি লঙ্ঘন করায় আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিনকে সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের পর আদালতে গেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিনকে সার্ভিস রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস অনুযায়ী বরখাস্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এর বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা দাখিল করেন আবেদা হক। মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে আদালত ডিসি ও এডিসিকে শোকজ করেন।