শ্রেণিকক্ষে ‘প্রাইভেট কার্যক্রম’, কলেজ শিক্ষককে শোকজ

  © টিডিসি ফটো

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শ্রেণিকক্ষে ‘প্রাইভেট কার্যক্রম’ পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে ফেনী সরকারি কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের নাম মো. রিদোয়ানুল কবির। তিনি ওই কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক।

এই অভিযোগে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ৩১ মার্চ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল এক চিঠিতে তাকে এ নোটিশ প্রদান করেন।

কারণ দর্শানোর নোটিসে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু ৩১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় আপনি গণিত বিভাগের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাইভেট কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন তা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।

এতে বলা হয়, ‘এমতাবস্থায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে কের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা চিঠি পাওয়ার ৩ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানো নির্দেশ দেওয়া হল।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. রিদোয়ানুল কবির দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে সমাধান হয়েছে গেছে। তিনি চিঠির জবাব দিয়ে দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘ ওইদিন অনলাইনে ক্লাস ছিল। কিন্তু তখন বিদ্যুৎ, ওয়াইফাই কোনোটায় ছিলনা, আমি শ্রেণিকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় কিছু স্টুডেন্টস এসে উপবৃত্তির বিষয়ে জানতে চাচ্ছিল। তখন তাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলাম, কথা বলছিলাম। তাদের সাথে ব্যাগ ছিল, স্টুডেন্টসরাতো কোথাও গেলে ব্যাগ নিয়েই যায়। সেটা কারো চোখে পড়ছে হয়তো।’

তিনি বলেন, ‘কলেজে আমাদের সবার আলাদা রুম রয়েছে। এখনকার পরিস্থিতিতে কেউ কলেজে স্টুডেন্ট পড়ায় না।’ তবে এমন পরিস্থিতিকে স্টুডেন্টদের সাথে কথা বলাও উচিত হয়নি বলে জানান তিনি।

তবে বিষয়টি মীমাংসা হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ওই শিক্ষকের লিখিত জবাব এখনো পাইনি। পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ