প্রথমবারের মত দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন-নতুন বই

ক্লাসে শিক্ষার্থীরা
ক্লাসে শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

আগামী বছর প্রথমবারের মত দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজনের সুযোগ ও নতুন বই পেতে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রচলিত কারিকুলামে গত ২০২৩ সালে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিভাগ বিভাজন ও নতুন বই পেয়েছিলেন। সাধারণ পরিস্থিতিতেই নবম শ্রেণিতে পাওয়া বই দশম শ্রেণিতের পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। তবে চলতি বছর বিভাগ বিভাজন উঠিয়ে নবম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে দেয়ায় আগামী বছর এ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণিতে পেতে যাচ্ছেন নতুন বই ও বিভাগ বিভাজনের সুযোগ। এর আগে কখনও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাননি। 

দায়িত্ব নেয়ার ২৩দিনের মাথায় গত ১ সেপ্টেম্বর নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তাই ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকটা আগের শিক্ষাক্রমের ধাঁচের পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন : আগের শিক্ষাক্রমেই ফিরছে বই, জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর আশা

এ ঘোষণা দিয়ে জারি করা পরিপত্রে বলা ছিল, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

আরও পড়ুন : নতুন বইয়ের কাজ শেষে কারিকুলাম পরিমার্জন শুরু হবে: এনসিটিবি চেয়ারম্যান

সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ তদারকির দায়িত্বে আছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে বিভাগ বিভাজনের সুযোগ দিয়ে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন চলছে। তা মুদ্রণের প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে। আশা করছি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। 

তিনি আরও বলেন,  আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পরিমার্জিত পাঠ্যবই পৌঁছানোর। প্রতিনিয়ত মিল মালিক ও প্রেসগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি। কাগজের মজুদ কি রকম আছে, ছাপাতে কি রকম সময় লাগবে-এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। খুব শিগগিরই মিল মালিক, প্রেস মালিক ও শিক্ষা প্রশাসনের একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের আলোচনা চলছে। 


সর্বশেষ সংবাদ