বিয়ে করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না: পরীমনি

রাজ ও পরীমণি
রাজ ও পরীমণি  © সংগৃহীত

বিয়ের পর প্রথম ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপন করছেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি জুটি। রাজ কখনো স্বপ্নেও চিন্তা করেননি পরীমনিকে বিয়ে করবেন। তেমনি পরীমনিও কখনো ভাবেননি যে রাজকে বিয়ে করবেন। সম্প্রতী এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।

মুমতাহিনা টয়ার উপস্থাপনায় ভালোবাস দিবসের এক অনুষ্ঠানে পরীমনি বলেন, রাজের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মনে হয়েছে, তার রাজ্যে তো রানি হওয়াই যায়। আমিই প্রথম রাজকে প্রেমের প্রপোজ করেছি। পরীমনির সহজ-সরল স্বীকার উক্তি।

আরও পড়ুন: ২৩ সদস্যের ‘বাংলা টাইগার্স দল’ ঘোষণা

প্রেমের প্রস্তাবের পর বেশি দিন প্রেম করার সুযোগ পাননি রাজ ও পরী। কিছুদিনের মধ্যে বিয়ে করে ফেলেন তাঁরা। পরী বলেন, আসলে আমাদের বিয়ে করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। একসঙ্গে সারা জীবন থাকার জন্যই আমরা বিয়ে করে ফেলি।

শরিফুল রাজ ও পরীমনির বিয়ের ঘটক ছিলেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। আর উকিল বাবা ছিলেন রেদওয়ান রনি। এই দুজনের চেষ্টায় চার হাত এক হয়। বিয়ের পরে নিজেদের বন্ধু নয়, স্বামী-স্ত্রী ভাবতেই ভালো লাগে পরীমনির।

ভালোবাসার কীভাবে শুরু হলো, সে গল্প বলতে গিয়ে শরিফুল রাজ বলেন, আমাদের ভালোবাসার গল্প শুরু হয়েছে চরকি অরিজিনাল ফিল্ম গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত “গুনিন”–এর সেট থেকে। আসলে আমাদের সবকিছু হুটহাট করে হওয়া।’

রাজকে ভালো লাগার কারণ বলতে গিয়ে পরীমনি বলেন, রাজ যা করে তার মধ্যে একটা বাচ্চামি থাকে। ওটা দেখে মনে হয়েছে, মানুষটা তো আসলে আমার চাওয়ার মতোই।’

আরও পড়ুন: হিজাব পরার পক্ষে বিক্ষোভ করায় কর্ণাটকের ৫৮ ছাত্রী বহিষ্কার, মামলা

রাজের কেন পরীমনিকে পছন্দ? কী দেখে প্রেমে পড়েছিল এবং ভালোবেসেছিল। সেটি সম্পর্কে  বলেন, আমার হাত ভাঙা থাকার কারণে ভাত খাওয়ার সময় আমার হাত থেকে ভাত পড়ে যেত। এ বিষয়টা পরীমনি খেয়াল করে। এরপর যখনই ভাত খেতাম, পরী আমাকে নিজের হাত দিয়ে খাইয়ে দিত। এভাবেই পরীমনিকে রাজের ভালো লাগা শুরু হয়।

স্ত্রী হিসেবে পরীমনি কেমন? রাজের উত্তর, অসাধারণ, অসাধারণ এবং অসাধারণ। রাজ স্বামী হিসেবে কেমন, ‘পারফেক্ট স্বামী’ পরীমনির এক কথায় উত্তর।