‘আমার কাছে প্রতিটি দিনই মান্নার প্রয়াণ দিবস’

মান্না
মান্না  © সংগৃহীত

চিত্রনায়ক এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) নায়ক মান্নার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন মান্না। জীবদ্দশায় অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি।

চলচ্চিত্রে তার শূণ্যতা আজও পূরণ হয়নি। চিত্রনায়ক মান্না এখনো আবেগের নাম। বিশেষ দিনে প্রিয় এই নায়ককে দেশের সাধারণ ভক্তদের মতো স্মরণ করেন দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষেরা। প্রিয় নায়ককে স্মরণ করলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষেরা।

এ নায়কের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না ও মান্না ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। শেলী মান্না বলেন, মান্না এখনও আমার অনুভূতির সবটুকু জায়গা জুড়ে মিশে আছে। আমার কাছে প্রতিটি দিনই মান্নার প্রয়াণ দিবস। সবসময় তার জন্য দোয়া করি, মান্না যেখানে আছেন সেখানে যেন শান্তিতে থাকেন।

১৪ বছর আগে মান্না মারা যাওয়ার পর একমাত্র পুত্রকে নিয়ে একাকী জীবনযাপন করছি উল্লেখ করে শেলী মান্না বলেন, এই কঠিন পৃথিবীতে আমি আমার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে একাকী বসবাস করছি। চারপাশে মুখোশধারী মানুষ। আমাদের অনেকভাবে অনিষ্ঠ করেছে। তবে আমি আজও মান্নার স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছি, ভালো আছি। সে আমার সামাজিক ও মানসিক সাপোর্ট।

আরও পড়ুন: ‘গুম আতঙ্কে’ দুদক কর্মকর্তা শরিফ

১৯৮৪ সালে বিএফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের মাধ্যমে মান্না চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম অভিনীত সিনেমা ‘তওবা’ (১৯৮৪)।

মান্না অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে- সিপাহী, যন্ত্রণা, অমর, পাগলী, ত্রাস, জনতার বাদশা, লাল বাদশা, আম্মাজান, আব্বাজান, রুটি, দেশ দরদী, অন্ধ আইন, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, অবুঝ শিশু, মায়ের মর্যাদা, মা-বাবার স্বপ্ন, হৃদয় থেকে পাওয়া ইত্যাদি।

১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। মৃত্যুর পর তাকে সেখানেই সমাহিত করা হয়। অনেক ভক্ত প্রায়ই নায়ক মান্নার কবর দেখতে ভিড় করেন।


সর্বশেষ সংবাদ