এখনো অপু-শাকিব-বুবলীর ছবি দেখে ঘুমের ওষুধ খান রাত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২২, ০১:১১ PM , আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২২, ০১:১১ PM
মিডিয়া প্রাঙ্গণে এখন আলোচনা চিত্রনায়ক শাকিব খানের তিন সন্তানকে নিয়ে। অনেকের মতে, চিত্রনায়িকা বুবলীর কোলজুড়ে আসে নায়ক শাকিব খানের তৃতীয় পুত্র শেহজাদ খান বীর। তার দ্বিতীয় পুত্র আব্রাহাম। যার মা চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। আর প্রথম সন্তান রাহুল খান আরেক নারীর গর্ভে জন্ম নেয় বলে জানা গেছে। সেই নারীর নাম রাত্রি।
সস্প্রতি শাকিব-বুবলীর সন্তান প্রকাশ্যে আসায় আবারো সরব হয়েছে শাকিব-রাত্রীর পুরোনো গল্প। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলতে দেখা গেছে রাত্রী নামের ওই নারীকে। তার একটাই চাওয়া তিনি শাকিবকে ভালোবাসেন তিনি চান শাকিব ভালো থাকুক। রাত্রী বলেন, আমি খুব কষ্টে আছি। তবু চাই শাকিব ভালো থাকুক। আমার ছেলেটা একদম শাকিবের মতো হয়েছে। আমি এখন যখন এই অপু, বুবলীর সাথে শাকিবকে দেখি তখন কষ্টে রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রায় রাতে ঘুমের ট্যাবলেট খাই। আমি অন্য কোনো নেশা করি না, তবে শাকিবের এসব দেখে আমার ঘুমের ট্যাবলেট খেতে হয়।
জানা যায়, শাকিব খান ও রাত্রী এক সাথে ছিলেন ২০০৮-৯ সালের দিকে। সেই রাত্রির গর্ভে প্রথম সন্তান জন্ম নিলেও অভিযোগ রয়েছে শাকিব তাদের দেখভালের দায়িত্ব নেননি।
বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদনে বলা হয়, সবার কাছে তিনি শাকিব খান হলেও, রাত্রির কাছে তিনি মাসুদ রানা। সাধারণ মাসুদ রানা যখন শাকিব খান হয়ে ওঠেনি তখন রাত্রি নামের সেই তরুণীর প্রথম ভালোবাসা ছিলেন তিনি। তারকা খ্যাতির শীর্ষে ওঠার যাত্রায় শাকিব খান অস্বীকার করেন রাত্রিকে।
অপু বিশ্বাসের গর্ভে আব্রাহামের জন্ম, শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় জানা যায় রাত্রির কথা। প্রশ্ন ওঠে রাত্রি কেন তার অধিকার আদায়ের জন্য অপু বিশ্বাসের মতো সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি।
তখন রাত্রি তিনি জানিয়েছিলেন, যে ভালোবাসার কারণে এতোগুলো বছর চুপ থেকেছি, এখন আর মুখ খুলে কী লাভ? শাকিব যদি কোনোদিন বুঝতে পারে, ফিরে আসে তাহলে আমার আর কিছু চাই না। এর বাইরে মুখ খুলিনি কারণ আমি চাইনি আমার হিরোর (শাকিব খানের) কোনো ক্ষতি হোক।
নিজেকে শাকিবের প্রথম সন্তানের মা হিসেবে দাবি করে তখন রাত্রি আরো বলেন, আমি আর আমার আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন। আমি জোর গলায় বলতে চাই শাকিব খানের প্রথম সন্তানের মা আমি। এটা শাকিবও অস্বীকার করতে পারবে না।
তবে এ বিষয়ে শাকিব খান কখনো কোথাও মন্তব্য দেননি।