চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি ছাড়লেন অভিনেত্রী মম, নেপথ্যে কী?

জাকিয়া বারী মম
জাকিয়া বারী মম  © ফাইল ফটো

২০২৪-২৫ অর্থবছরের ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। গত ২৫ মে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে সম্প্রতি, যখন সরকারিভাবে ৩২টি চলচ্চিত্রকে ১৩ কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মম। বলেন, “আমি বেশ আগেই পদত্যাগ করেছি। ২৫ মে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে সময় দিতে পারছিলাম না—সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।”

জুলাই আন্দোলনের সময় জাকিয়া বারী মম ছিলেন অন্যতম ফ্রন্টলাইনার, যার মধ্যে ছিল রাষ্ট্র, সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রের প্রতি একান্ত দায়বদ্ধতা। রাষ্ট্রের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন চলচ্চিত্র অনুদান কমিটিতে। শুটিং, ব্যস্ততা, ব্যক্তিগত সময়ের বাইরে গিয়েও যুক্ত হয়েছিলেন দেশের চলচ্চিত্র সংস্কারের প্রয়াসে।

তবে সেই যাত্রার সমাপ্তি ঘটল অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে। মম বলেন, “আমার যেহেতু ব্যক্তিগত কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই ক্ষমতার কাছে, শুধু কাজটাই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা সঠিকভাবে করতে পারিনি। মনে হয়েছে, আমি যেহেতু কাজ করতে পারছি না, আমার জায়গায় কেউ আসলে হয়তো আরও ভালো হবে কমিটির জন্য।”

এ বক্তব্য থেকে কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়—সম্ভবত কাঙ্ক্ষিত কাজের পরিবেশ, নীতিগত স্বচ্ছতা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অস্বস্তি থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের নেতৃত্বে গঠিত এই অনুদান কমিটিতে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), তথ্য সচিব, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্মাতা ও প্রযোজক আকরাম খান, চিত্রনাট্যকার নার্গিস আখতার এবং রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল।

শুরুর দিকে উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন মো. নাহিদ ইসলাম, যাকে পরে মাহফুজ আলম স্থলাভিষিক্ত হন । মমর এই পদত্যাগ শুধু একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং চলচ্চিত্র অনুদান প্রক্রিয়া নিয়ে বৃহত্তর প্রশ্নও তুলে ধরে—এই প্রক্রিয়ায় কি সত্যিই কাজের সুযোগ আছে? নাকি সংস্কারের স্বপ্ন ক্রমেই হয়ে যাচ্ছে দূরহ?


সর্বশেষ সংবাদ