আমির খানের ‘সিতারে জামিন পার’ আলোচনার শীর্ষে, প্রথম দিনে আয় ১৯ কোটি রুপি

আমির খান
আমির খান  © ফাইল ফটো

আলোচনার শীর্ষে আছে বলিউড স্টার আমির খান অভিনীত ও প্রযোজিত নতুন সিনেমা ‘সিতারে জামিন পার’। বিশ্বব্যাপী মুক্তির প্রথম দিনেই আয় করেছে ১৯ কোটি ৫০ লাখ রুপি। শুক্রবার মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি ভারতের প্রেক্ষাগৃহগুলো থেকে আয় করেছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ রুপি এবং আন্তর্জাতিকভাবে আয় করেছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপি (প্রায় ৮ লাখ ডলার)।

পিঙ্কভিলা–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে নির্মিত একটি অনুপ্রেরণামূলক ক্রীড়ানির্ভর গল্প হওয়ায়, সিনেমাটির আয় প্রথম দিনে খুব বেশি না হলেও দর্শকপ্রতিক্রিয়া বেশ ইতিবাচক। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে সপ্তাহান্তে সিনেমার আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম তিন দিনেই সিনেমাটির বক্স অফিস আয় ৮৫ থেকে ৯০ কোটি রুপির মধ্যে পৌঁছাতে পারে।

আর এস প্রসন্ন পরিচালিত এই সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন আমির খান নিজেই। নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি রুপি, যেখানে আমির খানের পারিশ্রমিক অন্তর্ভুক্ত নয়। ইতিমধ্যে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহের বাইরে অন্যান্য চ্যানেল থেকে আয় করেছে প্রায় ৫০ কোটি রুপি।

বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, সিনেমাটি যদি বিশ্বব্যাপী ৭০ কোটি রুপির মতো আয় করতে পারে, তাহলে প্রযোজকদের বিনিয়োগ উঠে আসবে। এরপর সিনেমার চূড়ান্ত আয়ের ভিত্তিতে আমির খান নিজের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করবেন বলে জানা গেছে।

সিনেমাটির ডিজিটাল স্বত্ব এখনও বিক্রি হয়নি, ফলে এটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে শিগগির মুক্তি পাচ্ছে না। দর্শকদের তাই প্রেক্ষাগৃহেই গিয়ে সিনেমাটি দেখতে হবে।

‘সিতারে জামিন পার’-এর কাহিনি গড়ে উঠেছে গুলশন নামের এক বাস্কেটবল কোচকে ঘিরে, যিনি রূঢ় স্বভাব ও দুর্ব্যবহারের কারণে বারবার বিতর্কে জড়ান। পুলিশের সঙ্গে এক সংঘাতের ঘটনায় তাকে আদালতের নির্দেশে একদল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে বাস্কেটবল শেখানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের নিয়ে অংশ নেওয়া হয় জাতীয় বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপে।

গুলশনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান। তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন জেনেলিয়া ডিসুজা। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন দারশিল সাফারি, সোনালি কুলকার্নি, ব্রিজেন্দ্র কালা, সুরেশ মেননসহ আরও অনেকে।

প্রসঙ্গত, এই সিনেমাটি আমির খানের ২০০৭ সালের জনপ্রিয় সিনেমা ‘তারে জামিন পার’-এর সিকুয়েল হিসেবে তৈরি হয়েছে। আগের ছবির মতো এটিতেও মানবিকতা, সহানুভূতি ও শিক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্রীড়াজগতের সংগ্রাম ও অন্তর্দহন।


সর্বশেষ সংবাদ