শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এবার রক্তিম হাতের ছাপ
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:০৭ PM , আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:০৭ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসাবে বিক্ষোভ মিছিল ও দেয়ালে দেয়ালে রক্তিম রঙ মাখা হাতের ছাপ একেঁছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪ টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আইআইসিটি ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। যেখানে ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা চালানো হয়। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতে রঙ মেখে দেয়ালে ছাপ দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘বলছি ফরিদ শুনে রাখ লজ্জা যে তোর নাইবা থাক’, ‘ যতই ঝড়ঝঞ্চা যাক বাজবে মোদের জয়ঢাক, আমার ঘর আমার দোর তুই কোথাকার ভুঁইফোর’, ‘ফরিদ হটাও শাবি বাঁচাও, ফরিদদের আস্তানা শাবিপ্রবিতে হবে না’, ‘আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে, পতন পতন পতন চাই উপাচার্যের পতন চাই’ ও ‘এক দফা এক দাবি ফরিদ তুই কবে যাবি?’ প্রভৃতি নানান প্ল্যাকার্ড লক্ষ্য করা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৬ শে জানুয়ারী আমাদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে এখনও আমাদের দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার কোনরকম দৃশ্যমান প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আমাদের ওপর করা ২টি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি ও আন্দোলনে অর্থ যোগানে ব্যবহৃত নম্বর, বিকাশ, নগদ একাউন্টসহ অনলাইনে লেনদেনের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর দুয়েকটি বাদে বাকিগুলো এখনো খোলা হয়নি।
তারা আরও জানান, আমাদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। আমাদের দাবিগুলোও এখনো পূরণ হয়নি। তাই আমরা আজকে আবার মিছিল করেছি এবং মিছিল শেষে যে জায়গায় ভিসির নির্দেশে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল সেখানে সমস্ত অন্যায়-নিপীড়ন-জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের ইশতেহার হিসেবে রক্তিম হস্তছাপ এঁকে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের হস্তক্ষেপে দাবি পূরণের আশ্বাসে আমরণ অনশন ভাঙেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রতিদিন শান্তিপূর্ণভাবে নানান কর্মসূচির মাধ্যমে এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।