পবিপ্রবির কম্বাইন্ড ডিগ্রি কার্যক্রমে হাইকোর্টের তিন মাসের স্থগিতাদেশ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)  © সংগৃহীত ও সম্পাদিত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ও বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি (অনার্স) ডিগ্রি বাতিল করে ‘বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি’ নামে নতুন একটি কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (০৫ নভেম্বর) হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমেদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এই রিট আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরও শিক্ষার্থী। তাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)।

আবেদনকারীদের পক্ষে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিপ্রবি আইন, ২০০১’-এর ধারা ২০(ড) অনুসরণ না করেই নতুন কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ওই আইনে বলা আছে, কোনো নতুন বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু পবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ তা না করেই নতুন প্রোগ্রাম চালু করেছে।

আরও পড়ুন: জকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো দল-গোষ্ঠীর চাপ নেই: উপাচার্য

আদালত শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রাথমিকভাবে গ্রহণযোগ্য মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এ সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পূর্বনিয়মে তাদের কোর্স চালিয়ে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়।

এছাড়া, আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৯ নভেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেছেন, যাতে ব্যাখ্যা করতে হবে কেন একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. হেমায়েত জাহান বলেন, আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো, ভর্তিকৃত কোনো শিক্ষার্থী যদি চায় ডিভিএম কিংবা এএইচ ডিগ্রি নিয়ে বের হতে চায়, তবে তাকে তাই দেওয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। এমনকি কোনো একজন শিক্ষার্থীও যদি চায়, তবুও তাকে ডিভিএম কিংবা এএইচ দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রিট খারিজ করার জন্য রবিবারই রিট পিটিশন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল অ্যাডভাইজর এই রিট খারিজ করার জন্য কাজ করবেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হবে কি না— এ বিষয়ে পবিপ্রবি ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, এই রিট খারিজ করার জন্যই আমরা লিগ্যাল একশনে চলে যাচ্ছি। এখন ক্লাস-পরীক্ষা যেভাবে আছে, সেভাবেই চলবে।

 

 


সর্বশেষ সংবাদ