বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে বশেফমুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
- বশেফমুবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ PM
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) ৮ম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে দুপুরের খাবার নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে নিরাপত্তা ঝুঁকি ও আমন্ত্রিত ব্যান্ড শিরোনামহীনের বিলম্বিত উপস্থিতির কারণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুপুরের খাবার নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করে বলেন, খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকেই তা খেতে পারেননি।
এ বিষয়ে অনুষ্ঠানের আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘রংধনু রেস্টুরেন্ট থেকে খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হলে তারা জানায় খাবার নষ্ট গেছে। পরে আমরা এটির সত্যতা পাই। তখন রংধন রেস্টুরেন্টকে জানালে তারা ১০০ প্যাকেট খাবার পাঠায়। তখন আমরা তা শিক্ষার্থীদের দিই। আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না।’
এদিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় দিবস উপলক্ষে আবারও শিরোনামহীন ব্র্যান্ডকে আনার দাবি জানাচ্ছেন। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফেরাতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, এলাকার বিএনপি নেতাদের দাওয়াত না দেওয়ার কারণে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। ফলে নিরাপত্তার কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো প্রো-ভিসি পেল বশেফমুবিপ্রবি
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হলেও সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় জমজমাট সাংস্কৃতিক পরিবেশনা চলতে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ দর্শনার্থীতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে অনুষ্ঠান চলাকলে নিরাপত্তা ঝুঁকি ও শিরোনামহীন ব্র্যান্ড ঢাকায় শ্রমিকদের আনন্দোলনের কারণে জ্যামে আটকে পড়ায় আসতে অনেক দেরি হবে বলে উপাচার্য অনুষ্ঠান সমাপ্তির ঘোষণা দেন।
ঘোষণার পরপরই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণ জানতে রাত ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন। তখন প্রশাসনেরন পক্ষ থেকে প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষকরা সেখানে এলে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে রাজি না হয়ে সরাসরি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার কথা জানান। কিছু সময় পর উপাচার্য সেখানে আসেন এবং অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার জানায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসে, শীতের ছুটির আগে এমন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিতে হবে। তাদের এ প্রস্তাব গ্রহণ করে ছুটির আগেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আশ্বাস দেন উপাচার্য। এতে শিক্ষার্থীরা আশ্বস্ত হয়ে অবস্থান ত্যাগ করেন।