নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী
- চুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৫:২০ PM , আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৫:১৬ PM
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ৮ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। চুয়েটের কেয়ার প্রকল্পের আওতায় পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ২ বছরের জন্য ৩ জন এবং ৫ মাসের জন্য ৫ শিক্ষার্থী আগামী চলতি বছরের আগস্টে নরওয়ে যাবেন। শিক্ষার্থীদের এ সফর উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তারা।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
নরওয়ের উদ্দেশ্যে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পূর্ণ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে ২ বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য যাচ্ছেন ৩ জন। তারা হলেন- রাকিব বিন নাসির, প্রমিত পাল, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ জোবায়ের। ৫ মাসের মাস্টার্স থিসিস প্রোগ্রামের জন্য ৫ জন শিক্ষার্থী আগামী আগস্ট মাসে নরওয়ে যাবেন। এরা হলেন- আদিত্য চৌধুরী জয়, মো. ইয়াসির ভূঁইয়া, মো. আমিরুল মোমিনিন, আহমেদ আব্দুল্লাহ মুজাহিদ, শীতল রায়।
চুয়েটের শিক্ষার্থী আদিত্য চৌধুরী জয় বলেন, নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাগডারে মাস্টার্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছি বলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। নরওয়ের এগডারের সাথে চুয়েটের কেয়ার প্রকল্পটি নবায়নযোগ্য শক্তিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করবে। এই সকল বিষয় বিশেষজ্ঞ ও প্রফেসরদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি চুয়েট কর্তৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং চুয়েটে কেয়ার প্রকল্পের পরিচালক ও সমন্বয়ক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম জানান, বর্তমানে কেবল যন্ত্রকৌশল বিভাগ, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত পিএইচডি/মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থীরাই এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করতে পারে। তবে খুব শীঘ্রই আরো কিছু বিভাগে এর পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। আশা করি সে প্রচেষ্টা সফল হবে।
চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, যারা পড়াশোনা শেষ করে ফিরেছে, তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। আর যারা নতুন যাচ্ছে, তাদের জন্য রইলো শুভকামনা। আশা করছি, নতুনরা তাদের গবেষণা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। এই প্রকল্পটিকে আরো দীর্ঘমেয়াদি করা এবং তার পরিধি বৃদ্ধির জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।