১২ দিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন র‌্যাংগিংয়ের শিকার শাবিপ্রবি ছাত্র

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

২০ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের নবীন দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় করে দেখানোর নির্দেশ দেন একই বিভাগের ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থী। ২০২১-২২ সেশনের নবীন এ শিক্ষার্থীর গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি হয়েছিলেন।

নবীন এ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় করতে নবীন এক শিক্ষার্থীকে মেয়ে সাজিয়ে তাকে ধর্ষণ করতে বলেন অপর একজনকে। সে অনুযায়ী অভিনয় করেন নবীনরা। তবুও মন ভরেনি সেই সিনিয়রের। অসন্তুষ্টি থেকে তিনি ধর্ষণকারীর চরিত্রে অভিনয় করা সেই নবীন শিক্ষার্থীকে বলেন, ‘র‌্যাপটা তো তুই ঠিকমতো করতে পারলি না রে!’

বৃহস্পতিবার ( ২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এমনটিই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নবীন শিক্ষার্থীদের একজন।

মানসিকভাবে হেনস্থার শিকার হয়ে গতকাল বুধবার ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বরাবর অভিযোগ দেন সেই শিক্ষার্থী। এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন: র‍্যাগিংয়ের দায়ে শাবিপ্রবির ৫ শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. আপন মিয়া, মো. আল-আমিন, পাবন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন ও মো. আশিক হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সমর্থক ও আবাসিক হলের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, সেদিন রাতে আমিসহ আমাদের মোট ৯ জনকে দিয়ে নানান অশ্লীল কাজ করিয়েছে আমাদের সিনিয়ররা। তখন তারা আমাকে বিশ্রী গালি শিখিয়ে দিয়ে আমার নামের সাথে সেই গালি উচ্চারণ করতে বলে। আমাকে দিয়ে হিজড়ার অভিনয় করায়। এর পাশাপাশি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

হলের আবাসন সুবিধা নিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মুজতবা আলী হলে উঠেছিলেন ভুক্তভোগী সে শিক্ষার্থী। একদিন না পেরোতেই পরিচয় পর্বের নামে এমন অশ্লীলতা ও হেনস্থার শিকার হয়ে সে রাতকে জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ রাত বলে উল্লেখ করে জীবনেও আর হলে উঠবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের ভিতরে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলে কমিটির একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেছেন।

আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence