এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন পেতে লাগবে ন্যূনতম পরীক্ষার্থী ও পাস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২১ AM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সরকারি অংশ পেতে নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষার্থী ও নির্দিষ্ট শতাংশকে পাস করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানভেদে পাসের হার থাকতে হবে সর্বোচ্চ ৭০ থেকে সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম পরীক্ষার্থী ও পাসের হার থাকতে হবে। নিম্ন মাধ্যমিকে সিটি করপোরেশন ও জেলায় ৩৫ জনের মধ্যে ৭০ ও ৬৫ শতাংশ এবং মফস্বলে ২৫ জনের মধ্যে ৬০ শতাংশ পাস করতে হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য সিটি করপোরেশন ও জেলায় ৩৫ জনের মধ্যে যথাক্রমে ৭০ ও ৬০ শতাংশ এবং মফস্বলে ৫৫ শতাংশ।
উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিটি করপোরেশন ও জেলায় ৪০ জনে ৬৫ ও ৫৫ শতাংশ এবং মফস্বলে ৩৫ জনে ৫০ শতাংশ পাস করতে হবে। একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, স্নাতক (পাস) কলেজ, স্নাতক (সম্মান) কলেজ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শহর ও কলেজ ভেদে বিভিন্ন বিভাগত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষার্থী ও পাসের হার থাকার কথা বলা হয়েছে, যা ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানভেদে পরীক্ষার্থী ও পাসের হার দেখুন ছবিতে-



নীতিমালায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সরকারি অংশ পেতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ১০ বছর চাকরির পর সহকারী শিক্ষকরা সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন বলে জানানো হয়েছে। যদিও গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানের শিক্ষকরা উচ্চতর গ্রেড পেলেও পদোন্নতি পাবেন না।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৭ সিদ্ধান্ত জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
রবিবার (০৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যার বিষয়ে বলা হয়েছে, নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ২৫০-৩৯০ এবং শফস্বলে ১৯০ থেকে জন শিক্ষার্থী থাকার কথা বলা হয়েছে।
একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, স্নাতক (পাস) কলেজ, স্নাতক (সম্মান) কলেজ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শহর ও কলেজ ভেদে বিভিন্ন বিভাগত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকার কথা বলা হয়েছে।