৪ শিক্ষা বোর্ডের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩, ০৭:১৪ PM , আপডেট: ১৩ মে ২০২৩, ০৭:৪০ PM
দেশের ৪টি শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল রবিবার (১৪ মে) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন জেলাসমূহের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম রবিবার বন্ধ থাকবে।
এ অবস্থায় ৪টি বোর্ডসমূহের আওতাধীন জেলাসমূহে তার কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ রবিবার বন্ধের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় ৬ শিক্ষা বোর্ডে আগামী সোমবারের এসএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে চলমান এসএসসি/সমমান পরীক্ষা-২০২৩ এর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, যশোর শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন আগামী ১৪ ও ১৫ মে রবিবার ও সোমবার অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করা হলো। অন্যান্য বোর্ডে ওই দিনের পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার মোখার কারণে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের রোববার (১৪ তারিখের) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
শুক্রবার শিক্ষাবোর্ড জানায়, আগামীকাল রবিবার সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন পদার্থ বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষা আছে। ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র আঘাত এবার কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছু পরীক্ষাকেন্দ্র আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।