এইচএসসির ফলাফল নিয়ে কাল সভায় বসছেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২০ PM , আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৩ PM
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ নিয়ে সভায় বসছেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। এতে প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করবে মন্ত্রণালয়। ১৮ অক্টোবরের মধ্যেই ফলাফলের সবকিছু সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা ফলাফল নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আমাদের সভা সভা হবে। আমাদের অবস্থান মন্ত্রণালয়কে জানাব। পরে মন্ত্রণালয় তাদের অবস্থান জানাবে। এইচএসসির ফলাফল নিয়ে ১৮ অক্টোবরের আগেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হচ্ছে।’
এর আগে বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সভা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গত সোমবার মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা সচিব রেহেনা পারভীনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল কবে প্রকাশিত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ফল প্রকাশের চূড়ান্ত কোনো তারিখ নির্ধারণ না হলেও ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বোর্ড চেয়ারম্যানদের। বোর্ড চেয়ারম্যানরা ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আশ্বস্ত করেছে।
সভার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) মো. মজিবর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ফল প্রকাশ নিয়ে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা ১৯ অক্টোবরের মধ্যেই ফল প্রকাশ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা ১৯ অক্টোবর ফল প্রকাশের কথা বলেছি। তারা এর আগেও ফল প্রকাশ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যা জানা যাচ্ছে
এবারের এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা গত ১৯ আগস্ট শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ১২ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী—লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।
এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় বসেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ ছাত্রী। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।