এনসিটিবির বইয়ের ঠাঁই হচ্ছে ঝোপঝাড়ে

ঝোপঝাড়ে পড়ে আছে এনটিসিবির বই
ঝোপঝাড়ে পড়ে আছে এনটিসিবির বই  © সংগৃহীত

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভবনের পেছনের ঝোপঝাড়ে ​পড়ে থাকতে দেখা গেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কিছু বই। তবে জঙ্গলে ওই বই ফেলে দেওয়ার দায় নিতে চাইছেন না কেউ।

গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এসব বইয়ের চিত্র সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর শুরু হয়েছে তোলপাড়। কর্মকর্তারা দোষ চাপাচ্ছেন অধস্তন দপ্তরির ওপর। 

জানা যায়, শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষ হতে চললেও বিতরণ করা হয়নি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবির এসব বই। ফলে শিক্ষা অফিসের বইগুলোতে উইপোকা ধরেছে। আর শেষ পর্যন্ত এসব বইয়ের ঠাঁই হচ্ছে ঝোপঝাড়ে।

আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে চার ধর্মের চারটি বই, বাদ দেওয়া হয়নি: এনসিটিবি

এদিকে, এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে বইগুলো ঝোপঝাড় থেকে তুলে বস্তায় ভরে আবার শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের গোডাউনে নিয়ে রাখা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার ৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থীর তালিকা অনুযায়ী এ বছর এনসিটিবির বই বিতরণের জন্য দেওয়া হয়। তবে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের চেয়ে এ তালিকা বেশি হওয়ায় ২০৬১টি বই বিতরণ করা হয়নি। এসব বই এতোদিন গোডাউনে রাখা ছিল।

দীর্ঘদিন গোডাউনে ফেলে রাখায় বইগুলো উইপোকায় ধরে নষ্ট করে ফেলেছে। গোডাউনের এসব বই উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রুপা আক্তারের দায়িত্ব ছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এসএসসি পরীক্ষার ডিউটিতে আছি। এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রাশেদ মামুন বলেন, দপ্তরি শামীম এসব বই বের করেছেন। তবে তিনি আমাকে জানিয়ে বইগুলো বের করেনি। এ ঘটনায় দপ্তরি শামীম বলেন, বইগুলো উইপোকা ধরেছে তাই বের করে পোকা ঝেড়ে ফেলেছি।


সর্বশেষ সংবাদ