বাংলাদেশে ডিজিটাল অনলাইন নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ফেসবুক ও ইউএন উইমেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ মে ২০২১, ০৭:২৩ PM , আপডেট: ০৯ মে ২০২১, ০৭:২৩ PM
নারী-পুরুষের সমঅধিকার এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এমন বাংলাদেশি কিছু প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল নাগরিকত্ব ও অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ। তাদের যৌথ উদ্যোগে ৭ মে দিনব্যাপী একটি ভার্চ্যুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজনে ৩০টির বেশি সংগঠন থেকে ৮০ জনের বেশি তাতে অংশ নেন। সেখানে ডিজিটাল শেয়ারিং, প্রাইভেসি টুলস ও অনলাইনে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফেসবুকের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন। আজ রবিবার (৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব কথা জানায় ফেসবুক।
ডিজিটাল ক্ষেত্র জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে উল্লেখ করে ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রধান শোকো ইশিকাওয়া বলেন, এটা সমাজে প্রচলিত সহিংসতার প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখছে। ইতিবাচক বিষয়বস্তু এবং নারীবিদ্বেষ–বিরোধী সংলাপ তৈরির ক্ষেত্রে নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কাজ করছে ইউএন উইমেন বাংলাদেশ।
কর্মশালায় ফেসবুকের এশিয়া প্যাসিফিকের পলিসি প্রোগ্রামের পরিচালক বেথ অ্যান লিম বলেন, ‘ফেসবুক বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও নাগরিকত্ব, রেজিলেন্সি ও সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে। আমরা সব সময়ই নারী নেতৃত্বাধীন ও নারীর কল্যাণে বিনিয়োগ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করার পাশাপাশি তাদের জন্য কাজ করে এসেছি। আর সে জন্যই বাংলাদেশে ইউএন উইমেনের সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক জানায়, প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি এ বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শুরু হওয়া ফেসবুক ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশের অংশীদারত্বের ধারাবাহিকতায় আয়োজিত হয়েছে। বাংলাদেশি নারীদের নেতৃত্ব এবং তাঁদের জীবনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা নিয়ে ‘লেড বাই হার’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এই যৌথ উদ্যোগের শুরু হয়। এ ছাড়া এর আওতায় ফেসবুক এবং ইউএন উইমেন বাংলাদেশ একই ক্ষেত্রের ভিন্ন বয়সের নারীদের মধ্যে একটি ধারাবাহিক সংলাপের আয়োজন করবে।
ফেসবুক জানায়, তারা গত বছর বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ‘উই থিঙ্ক ডিজিটাল’ শীর্ষক কর্মসূচি শুরু করে। এই বৈশ্বিক কর্মসূচির লক্ষ্য ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিকত্ব তৈরি করার পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তা ও অনলাইনে সচেতনভাবে শেয়ারিংয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা।