৬ষ্ঠ ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

চ্যাম্পিয়ন বুয়েট, রানার আপ চুয়েট

চ্যাম্পিয়ন দল
চ্যাম্পিয়ন দল  © সংগৃহীত

৬ষ্ঠ ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (এনজিপিসি-২০২২)-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আর রানার আপ হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ‘৬ষ্ঠ ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (এনজিপিসি-২০২২)-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গার্লস কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ক্লাবের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহায়তায় ৬ষ্ঠ বারের মতো এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো। 

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান ও এনজিপিসি-২০২২ এর প্রধান বিচারক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কায়কোবাদ উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ- উপাচায প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব –উল হক মজুমদার। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. তৌহিদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. মোঃ ফখরে হোসেন, জাজিং ডিরেক্টর রাফিদ বিন মোস্তফা, ইনটেলের টেকনিক্যাল লিডার এনামুল আমিন, এনজিপিসি-২০২২ এর কনটেস্ট ডিরেক্টর প্রফেসর ড. শেখ রাশেদ হায়দার নূরী , এনজিপিসি-২০২২ এর কো- চেয়ার ড. এস এম আমিনুল হক, এনজিপিসি-২০২২ এর এক্সিকিউটিভ চেয়ার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

এবারের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দল ‘বুয়েট পাইরেটস’, প্রথম রানার আপ হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট ‘চুয়েট ম্যালানসটিকটাস’ এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল ‘স্মেল লাইকটিম স্পিরিট ’। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘ডিআইইউ এফ্রোডইিটস’ চ্যাম্পিয়ন (সামগ্রিক মূল্যায়নে ১৯তম)  হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে  সারা দেশ থেকে ১০৫টি দল অংশগ্রহণ করে। 

প্রধান বিচারকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. কায়কোবাদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে বাংলাদেশকে এখনই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমাদের পাশের দেশ ভারত প্রযুক্তিখাতে যেভাবে এগিয়ে গেছে আমরা সেভাবে এগোতে পারিনি। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও পৃষ্টপোষকতা দরকার। আমাদের প্রচুর মেধাবী ছেলেমেয়ে আছে। যারা আইসিটিতে দক্ষ তাদেরকে সামনে এগিয়ে আনতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশের আইসিটি সেক্টরে আমাদের দেশের তরুণরা ভালো করছে। সুতরাং প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষ একটি জাতি তৈরি করা আমাদের জন্য সহজ। শুধু দরকার একটু পৃষ্টপোষকতা। ড. মো. কায়কোবাদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমারা তোমাদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বাড়াও। সমস্যা সমাধানের দক্ষতাকে শানিত করো। এসময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আয়োজক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান এমন একটি প্রতিযোগিতা প্রতিবছর আয়োজন করার জন্য।

প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, এই প্রতিযোগিতাই শেষ প্রতিযোগিতা নয়। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে যাবে। কারণ আইসিটিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য। তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতায় সেসব মেয়েরা অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে যত্ন করতে চায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়। এই মেধাবী সন্তানরা যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করাই আসল কথা নয়। বরং কর্মজীবনে যেসব দক্ষতার প্রয়োজন হয় সেসব দক্ষতা অর্জন করাই একজন শিক্ষার্থীর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন সফট স্কিল অর্জন করার আহ্বান জানান।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence