টিকটকের দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি প্রধান বাংলাদেশি মোত্তাকিন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২২, ০৭:১২ PM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০১:২৭ PM
‘টিকটকে’র দক্ষিণ এশিয়ার গভর্নমেন্ট রিলেশন অ্যান্ড পাবলিক পলিসি প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন ফেরদৌস মোত্তাকিন। তিনি বাংলাদেশের একজন তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী ও পাবলিক পলিসি বিশেষজ্ঞ।
সফলভাবে দায়িত্বপালনের করণেই তাকে ‘টিকটকে’র দক্ষিণ এশিয়ার গভর্নমেন্ট রিলেশন অ্যান্ড পাবলিক পলিসি প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পাবলিক পলিসি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব একমাত্র ফেরদৌস মোত্তাকিনই দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি টিকটকের বাংলাদেশ বিষয়ক গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পান চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে।
তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বড় পরিবর্তন এসেছে টিকটকে। তিনি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অংশের ক্ষেত্রে টিকটক প্লাটফর্ম থেকে আপত্তিকর ভিডিও সরিয়ে নেবার উদ্যোগ নিয়েছেন। টিকটক দ্রুততম সময়ে প্রায় ৫০ লাখ আপত্তিকর ভিডিও সরিয়ে নিয়েছেেে ইতোমধ্যে। তরুণ প্রজন্মের জন্য এ প্লাটফর্মে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সরকারের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে কাজও করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিএসপি ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার সুযোগ
এ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশি একজন নাগরিককে টিকটক, ফেসবুকের মত প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়ার ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশের সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা, সামাজিক মূল্যবোধ সবকিছু বোঝেন। যে কারণে তাদের সহজে বাস্তব অবস্থা বোঝানো সম্ভব হয় এবং দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে। বাংলাদেশি নাগরিকের আন্তর্জাতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগকে অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেও মনে করেন তিনি।
দীর্ঘ কর্মজীবনে ফেরদৌস মোত্তাকিন মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের অপারেটর ও অন্যান্য সেবাদাতদা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ’তে টানা দশ বছর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি এশিয়ার বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশের হেড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি চীনের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েতে “পিএমও প্রজেক্ট ম্যানেজার’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কানাডার বিখ্যাত সিমন ফ্র্যাসার ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেটিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন।