শিক্ষকদের বদলির সফটওয়্যার তৈরির সভায় যে সিদ্ধান্ত হলো
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩৯ PM
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলি চালু করতে নতুন করে সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের দুই উপ-পরিচালক এবং ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের নতুন করে বদলির সফটওয়্যার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কোন সংস্থার মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এটুআই অথবা টেলিটকের মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করা হবে।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আগামী সপ্তাহে এটুআই এবং টেলিটককে চিঠি দেব। তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তারা যদি এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলির সফটওয়্যার তৈরির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে এই দুই প্রতিষ্ঠানের যে কোনো একটির মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। তারা রাজি না হলে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হবে।
মাউশি মহাপরিচালক এটুআইএর মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরির কথা জানিয়েছিলেন। সেটির কি হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর আজাদ খান পদত্যাগ করেছেন। তিনি যে কথা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আজকের সভায় আমাদের মধ্যে এতটুকু আলোচনাই হয়েছে।’
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও সমন্বয় আনতে তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর বদলি কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও, সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম যথাসময়ে শুরু হচ্ছে না।
মাউশি এবং বদলির সফটওয়্যার তৈরি করা উভয় সংস্থাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চায়। বিষয়টি নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন করে সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে বদলির অপেক্ষায় থাকায় লক্ষাধিক শিক্ষকের অপেক্ষারপ্রহর আরও বাড়ছে।