বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির পাইলটিং শুরু চলতি সপ্তাহে

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির পাইলটিং কার্যক্রম চলতি সপ্তাহে শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকদের তথ্য ইনপুটের সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) প্রধান শিক্ষকদের বদলির তথ্য ইনপুটের সফটওয়্যার উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মাউশির নয়টি অঞ্চলের পাঁচ ক্যাটাগরির ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহের পর সফটওয়্যারে কোনো সমস্যা না থাকলে সফটওয়্যারটি সব স্কুল-কলেজের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

জানতে চাইলে মাউশির উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মো. ইউনুছ ফারুকী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বদলি কার্যক্রম শুরুর জন্য আমাদের সফটওয়্যার পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রাথমিকভাবে আমরা পাইলটিং আকারে এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। আগামীকাল মঙ্গলবার অনলাইনে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এরপর বদলির তথ্য ইনপুটের কার্যক্রম শুরু হবে।’

আরও পড়ুন: শনিবার স্কুল খোলা রাখা নিয়ে যা বলছে মাউশি

চলতি সপ্তাহ থেকেই বদলির পাইলটিং শুরু হবে জানিয়ে মাউশির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পাইলটিংয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের সফটওয়্যারের সক্ষমতা যাচাই করব। সফটওয়্যারে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটি সংশোধন করা হবে। কোনো সমস্যা না হলে পাইলটিং শেষে এ সফটওয়্যার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’

জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই কেবল বদলির সুযোগ পাবেন। এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করতে যে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পদ ও শূন্য পদের তথ্য দেখা যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য এবং প্রদত্ত তথ্য যাচাই করারও সুযোগ থাকছে সফটওয়্যারে। প্রতিষ্ঠান প্রধান যে তথ্য দেবেন সেটি যাচাই করে ফরওয়ার্ড করবে উপজেলা শিক্ষা অফিস। পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পুনরায় তথ্য যাচাই করে সেটি মাউশিতে পাঠাবেন। আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে কোনো তথ্য যাচাই করা হবে না।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘তৈরিকৃত সফটওয়্যারে শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে কোন বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়েছেন, কমিটি নাকি এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন, কোন বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন, পদের নামসহ আরও বেশকিছু বিষয়ের তথ্য দিতে হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতেই মূলত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’ 

প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে। শিক্ষকরা আগে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে আমলাদের বিরোধীতার কারণে সম্প্রতি সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কারণে বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। চলতি বছর থেকে এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!