এখনও ডিসেম্বরের বেতন পাননি পৌনে এক লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত পৌনে এক লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তৃতীয় ধাপে এই শিক্ষকদের একটি অংশ বেতন পেতে পারেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা ইএমআইএস সেলের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইএমআইএস সেল সূত্র জানিয়েছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত ৩ লাখ ৮০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী সরকার থেকে অনুদান পান। তবে বেতন উত্তোলনের সময় তাদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে এমপিওভুক্তির সময় জমা দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ওই সূত্র জানায়, যাচাইকালে অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর ডাবল এমপিও, ভুল তথ্য দিয়ে এমপিও নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এছাড়া অনেকের এমপিওভুক্তির তথ্যের সঙ্গে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের মিল নেই। অনেকের জন্ম তারিখ ঠিক নেই। বিষয়গুলো সমাধান করে তৃতীয় ধাপের বেতন ছাড় করা হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ইএমআইএস সেলের এক কর্মকর্তা জানান, ‘দ্বিতীয় ধাপে যারা বেতনবঞ্চিত হয়েছেন তাদের তথ্য সংশোধনের জন্য কয়েকদিন সময় দেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যাদের তথ্যে নামের এক অক্ষর বানানসহ ভুল রয়েছে এবং সংশোধনযোগ্য শুধু সেগুলোই সংশোধন করে তৃতীয় ধাপের টাকা যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে অধিদপ্তর। কর্মকর্তা আরো জানান, তৃতীয় ধাপেও যাদের ইএফটিতে বেতন ছাড় করা সম্ভব হবে না তাদের পরবর্তীতে একটা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে তথ্য সংশোধন করে পাঠাতে বলবে অধিদপ্তর।’

জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে মাউশি। এর মধ্যে প্রথম ধাপে এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটিতে বেতন পেয়েছেন। সে হিসেবে এখনো বেতনের বাইরে রয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। দ্রুত বেতনের দাবি জানিয়েছেন বেতন না পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইএমআইএস সেলের প্রোগ্রামার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে দুই লাখ ৫৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটিতে বেতন পেয়েছেন। বাকিদের বেতনের বিষয়ে তথ্য সংশোধনের কাজ চলছে। এ প্রক্রিয়া শেষে যারা প্রাপ্য তাদের বেতন দেবে সরকার।’


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!