বেসরকারি স্কুলের ভর্তি ফি সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশ, ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা

মাউশি লোগো
মাউশি লোগো

শিক্ষার্থী ভর্তির ফি থেকে আয় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। তবে স্কুলে ভর্তির বিপুল পরিমাণ অর্থ এরই মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী, শিক্ষকদের বেতন, ঈদে বোনাস এবং জাতীয় অনুষ্ঠানে আয়োজনে ব্যয় হয়ে গেছে বলে প্রধান শিক্ষকদের দাবি। কাউকে না জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা। 

বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি চিঠি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরি স্বাক্ষরিত ঐ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধ্যমিক স্তুরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গৃহীত ভর্তি ফি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি কোষাগারে জমাদান সংক্রান্ত চালানের কপি গ্রহনপূর্বক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে অধিদপ্তরে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। 

স্কুলে ভর্তির বিপুল পরিমাণ অর্থ এরই মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী, শিক্ষকদের বেতন, ঈদে বোনাস এবং জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্যয় হয়ে গেছে বলে এক প্রধান শিক্ষকের দাবি। কেউ কেউ মনে করছেন, বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য প্রাথমিক ধাপ এটি হতে পারে। তবে এ নিয়ে আলোচনা ছাড়া এতবড় সিদ্ধান্ত কীভাবে সম্ভব তা তারা ভেবে পাচ্ছেন না।

এ ছাড়াও ভর্তি ফি বলতে কোন সীমা রেখা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন ভর্তি ফিতে সেশন চার্জ, খেলাধুলা ফি, বিদ্যুৎ- পানি চার্জসহ বিভিন্ন খাত থাকে। চিঠিটি সম্পূর্ণ অস্পষ্ট বলেও তিনি দাবি করেন।

হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো, ফকরুজ্জমান জানান, দুই মাস আগেই সরকার অবসর ও কল্যাণ তহবিলের কথা বলে নতুন ছাত্রদের ভর্তির টাকা থেকে ১০০ টাকা করে নিয়েছে। এখন হঠাৎ করে ভর্তি ফি সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার এ সিদ্ধান্ত বজ্রপাতের সামিল। ৬ মাস আগে প্রাপ্ত ভর্তি ফি থেকে শিক্ষকদের বেতন, বোনাস, জাতীয় কর্মদিবস পালন, শিক্ষা সামগ্রীতেই ব্যয় হয়ে গেছে। কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই, শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে পাস কাটিয়ে এমন পরিপত্রে বিস্মিত হয়েছেন তিনি।

মাউশির সহকারি পরিচালক ও চিঠিতে স্বাক্ষারকারী জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন,  স্কুলগুলোর বেতনের টাকা সরকারি কোষাগারে রাখতে হয়। স্কুলের থাকে সেশন ফি। সরকারি স্কুলগুলো বেতনের টাকা সরকারি কোষাগারে রাখে কিন্তু বেসরকারি স্কুল সেটি রাখছে না। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ