চাকরি ফিরে পেলেন প্রশ্নফাঁসের মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া মাউশির ২ কর্মচারী

মাউশি
মাউশি  © ফাইল ছবি

২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের মামলায় গ্রেফতার হন প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্মচারী। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। পরে মাউশি থেকে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পরে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় পুলিশ। মামলা থেকে দুই কর্মচারীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। পরে আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

প্রশ্নফাঁসের মামলা থেকে অব্যাহতির পর এবার তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করলো মাউশি। তবে মাউশি থেকে তাদের অন্য কর্মস্থলে বদলি করা হয়েছে। আজ সোমবার (৭ আগস্ট) মাউশির উপ-পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের সই করা আদেশে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।

চাকরি ফিরে পাওয়া ওই দুই কর্মচারী হলেন- মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসানুল হাবীব ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. নওসাদুল ইসলাম।

পুনর্বহালের পর আহসানুল হককে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের অলদিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং নওসাদুল ইসলামকে সিলেটের জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্টের মধ্যে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

মাউশির উপ-পরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়, উচ্চমান সহকারী আহসানুল হাবীব ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নওসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার (লালবাগ থানা, মামলা নং- ১৬৭/২০২২) দায় থেকে আদালতের রায়ে অব্যাহতি পাওয়ায় অধিদপ্তরের ২০২২ সালের ৬ জুনের আদেশে জারি করা সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি প্রত্যাহার করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (পার্ট-১) এর ৭২(এ) ধারা অনুযায়ী আনুষঙ্গিক সব সুবিধাসহ তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিজ বেতন ও বেতনক্রমে নতুন কর্মস্থলে বদলি/পদায়ন করা হলো। তার অনুপস্থিতকাল কর্তব্যরত হিসেবে গণ্য হবে এবং তিনি বিধি মোতাবেক বেতন-ভাতা প্রাপ্য হবেন।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৩ মে মাউশির ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৫১৩টি পদের বিপরীতে আবেদন করেন ১ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি প্রার্থী। ঢাকার ৬১ কেন্দ্রে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষা চলাকালে ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাই সুমন জোয়াদ্দার নামে একজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ পটুয়াখালী ও টাঙ্গাইলের দুজন শিক্ষক এবং মাউশির আহসানুল হাবীব এবং নওসাদুল ইসলামকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় ইডেন কলেজের শিক্ষক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence