এবার বিশ্বসেরা ২০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান ঢাবি
- ছিদ্দিক ফারুক, ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২০, ০১:১৮ PM , আপডেট: ০৯ জুন ২০২০, ০১:৪৫ PM
গত সপ্তাহেই যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন প্রকাশিত ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দেশের একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবার জায়গা পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং (সিডব্লিউইউআর) পরিচালিত সেরা ২ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে।
সোমবার সংস্থটি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই র্যাংকিং প্রকাশ করে।
র্যাংকিংয়ে সেরা ১ হাজারের মধ্যে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের ১৬টি ও পাকিস্তানের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। সার্কভুক্ত বাকি ৫টি দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান এতে হয়নি। যদিও ভারতের ৬৪টি এবং পাকিস্তানের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় এখানে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন করেছে ১ হাজার ৭৯৪তম।
জানা যায়, ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে সংস্থাটি। মোট সাতটি সূচকে এই তথ্য প্রকাশ করে থাকে তারা। এর মধ্যে রয়েছে- কোয়ালিটি অব এডুকেশন, অ্যালামনাই অ্যামপ্লয়মেন্ট, কোয়ালিটি অব ফ্যাকাল্টি, রিসার্চ আউটপুট, হাই-কোয়ালিটি পাবলিকেশন, ইনফ্লুয়েন্স এবং সাইটেশনস্।
সবমিলিয়ে এই ৭ সূচকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর ৬৬ দশমিক ৬; যাতে একশ’র মধ্যে ১০০ পেয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থান অর্জন। টানা নবমবারের এই স্থান পেল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়টি।
র্যাংকিং নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখা। এখন একটি সিস্টেমেটিক পদ্ধতিতে শিক্ষকদের গবেষণা এবং তাদের অর্জনগুলোর তথ্য সংগ্রহে একটি প্রয়াস আমরা নিয়েছি। সে লক্ষ্যে নতুন একটি আইসিটি সেল গঠন করে তার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি এবং সেগুলো ওয়েবসাইটে আপডেট করছি।
তিনি বলেন, আমরা র্যাংকিংকে গুরুত্ব দিই না। যদি কোন র্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ থাকে তাহলে সেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। কিন্তু র্যাংকিংয়ে থাকা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং বৃহৎ পরিসরে গবেষণার মান বৃদ্ধি করা।