যে কারণে ঢাবির উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন বর্জন করল সাদা দল
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০১৯, ০২:৪১ PM , আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯, ০২:৪১ PM
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটায় অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। আজ দুপুরে সাদা দলের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বর্তমান সিনেট ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এবং ডাকসু নির্বাচন ‘কলঙ্কিত’ সহ তিনটি কারণে বর্তমান সিনেটকে অস্বচ্ছ দাবি করছে সাদা দল। এর প্রতিবাদেই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছে সংগঠনটি। তবে, এবিষয়ে আলোচনা করে দলীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম।
অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সিনেট তিনটি কারণে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রথমত, সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক-প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় তিনটি প্যানেল হয়েছিল। নীল দল থেকে প্যানেল হয়েছিল দুটো। এর মধ্যে একটি প্যানেলকে প্রশাসন অবৈধভাবে বাদ দিয়েছিল, এটা অন্যায়। দ্বিতীয়ত, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে, বিশেষ করে ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোতে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমাদের সমর্থিত প্যানেলের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, ডাকসুতে একটি কলঙ্কিত নির্বাচন হয়েছে, যার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ‘অস্বচ্ছ’ সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আয়োজনের প্রতিবাদে সাদা দল নির্বাচনে কোনো প্যানেল দিচ্ছে না বলেও জানান তিনি।’
আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে তিনজনের উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন দেওয়া হবে। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। নির্বাচনে অংশ নিতে তিন সদস্যের প্যানেল চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। প্যানেলে বর্তমান উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল আছেন।
সাদা দল কোনো প্যানেল না দেওয়ায় এবং অন্য কোনো প্যানেল না হওয়ায় নীল দলের প্যানেলই সিনেটে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হবে। মনোনয়নের পর সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি এই তিনজনের মধ্যে থেকে একজনকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেবেন ।