ঢাবিতে রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্রা’ পরিবেশন করবে চীনা নাট্যদল

  © টিডিসি ফটো

শিল্পকলা বিষয়ক শিক্ষার প্রসার ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নাট্যজ্ঞানের বিনিময়ের প্রয়াসে 'চীনা সাংস্কৃতিক মাস -২০১৯ এর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চীন- বাংলাদেশ নাটক বিনিময়ের কর্মসূচি বাস্তবায়ন উপলক্ষ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ ও বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্রর আয়োজনে এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রো-এশিয়ান ভাষা বিভাগের অংশগ্রহণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ২৭ জুলাই (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টায় মঞ্চস্ত হতে যাচ্ছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘চিত্রা’।

২৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় উদ্ভধনি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমেদুল কবির, বাংলাদেশ -চীন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার-এর সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ -চায়না ফ্রেন্ডশিপ কোলাবরেটর তানভীর ইমাম যুবরাজ, চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধীসহ ডাকসুর নেতৃবৃন্দ।

রবীন্দ্রনাথের নাটকের চরিত্রগুলো নেওয়া হয়েছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি স্তর থেকে। ‘চিত্রা’ নাটকের ‘চিত্রাঙ্গাদা’ তেমনই একটি চরিত্র। ১৮৯২ সালে রবীন্দ্রনাথ তাঁর "চিত্রাঙ্গদা" নাটক প্রকাশ করেন। এই নাটকের বিষয়বস্তু মহাকাব্য 'মহাভারত' থেকে নেওয়া হয়েছে।নাটকে বীর অর্জুন ও চিত্রাঙ্গদার প্রেমের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তবে ভারতের চিত্রাঙ্গদা নাটক এর মধ্যে অমিল পাওয়া যায়। মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা ছিলেন অপরূপ ও লাবণ্যময়ী মেয়ে। আর রবীন্দ্রনাথের নাটকে চিত্রাঙ্গদার নেই ফুলের মত সুন্দর মুখ আর অপূর্ব চেহারা। তিনি মেয়েদের লাবণ্য বওঝেন না; ভয় কী, তাও তিনি জানেন না। তিনি সুন্দর সুন্দর পোষাকও গায়ে দেন না। সারাদিন তিনি শুধু তীর-ধননুক নিয়ে থাকেন। মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা সঙ্গে এ চিত্রাঙ্গদার অনেক পার্থক্য। নাটকে চিত্রাঙ্গদা যখন প্রথম অর্জুনের সামনে আসেন, তখন অর্জুনের মন জয় করতে পারেননি। তবে চিত্রাঙ্গদা শেষ পর্যন্ত অর্জুনের ভালোবাসা পেয়েছেন। "চিত্র" নাটকে কবি এই কাহিনী অপূর্ব ভাষায় ফুটিয়ে তোলেন ।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমেদুল কবির বলেন, এটা একটি সুখবর যে আমরা নতুনভাবে চীনের সাথে শিক্ষা ও শিল্প-সংস্কৃতির দিক থেকে যুক্ত হতে যাচ্ছি। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ- চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ঘটবে যা দুই দেশের সম্পর্কের বিশেষ একটা সেতুবন্ধন তৈরী করবে। এটাই আমাদের জন্য নতুন করে অনেক বড় একটা পাওয়া বলে আমি মনে করি।

তিনি আরো বলেন, এখন যেমন পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নাটক নিয়ে এসেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো কোন এক সময়ে তাদের বাংলা ভাষাভাষী নাটক নিয়ে চীনে মঞ্চস্থ করবে। এভাবেই দুই দেশের সংস্কৃতির বিনিময় ঘটবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায়, ২৮ জুলাই ২০১৯ বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে এই "চিত্রা" নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী মঞ্চস্ত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ